নিউমার্কেটে সংঘর্ষ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দোকানপাট খোলা যাবে না- এমন দাবিতে ফের সড়কে নেমেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। একাধিক দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। এতে মিরপুর রোডে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে নিউমার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে- এমন খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজের ফটকের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা নিউমার্কেট খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একই সময়ে নিউমার্কেটের সামনে ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরাও অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা কলেজের সামনে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা একতরফাভাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষের পেছনে তাদের (শিক্ষার্থীদের) দায়ী করেছেন। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেটের সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজের মধ্যে ঢাকা, ইডেন ও কবি নজরুল ছাড়াও রয়েছে বদরুন্নেসা কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।
নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত গত ১৮ এপ্রিল রাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে। পরদিন মঙ্গলবার থেমে থেমে দিনভর সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নাহিদ হোসেন নামে এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে ওই এলাকায় এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়ে আহত হন। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা যান তিনি। এ ছাড়া আরও একজন আইসিইউতে রয়েছেন।