জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা বলেছেন, দেশ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার ছোবলে এমনিতেই মানুষ দিশেহারা তার উপর সরকারের একের পর এক অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত জনগণকে বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসইেন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কৃষক পার্টির আয়োজিত দোয়া মাহফিল পুর্ব
আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাহিদুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলা মুশকিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য খাতের অপরিণামদর্শী মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও অপচয়ের ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ প্রচন্ড হুমকির মুখে। দেশের সকল স্তরের জনগণ এই অর্থব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এর কর্মকর্তাদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করলেও সরকার তা আমলে না নিয়ে বরং উল্টে প্রত্যক্ষভাবে তাদের মদদ দিচ্ছে। এ অবস্থায় একটি সভ্য দেশ চলতে পারেনা।
তিনি বলেন, দেশের অর্ধেকের বেশি জেলার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা নাই। বাকীগুলোও নড়েবড়ে অবস্থায় চলছে। যার ফলে মৃত্যুর মিছিল ঠেকানো যাচ্ছে না, এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারমানের উপদেষ্টা ড. মো: নূরুল আজহার শামীম, মো: জহিরুল আলম রুবেল, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, ১নং যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো: বেলাল হোসেন, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, মো: হুমায়ুন খান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইসহাক ভুইয়া, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সুমন আশরাফ, কাজী মো: জামাল উদ্দিন, শেখ হুমায়ুন করিব শাওন, মিনি খান, এড. এমদাদুল হক, জাতীয় তরুন পার্টির সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান, জাতীয় কৃষক পার্টি নেতা- সাজ্জাব হোসেন, আক্কাস তালুকদার, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।