শিক্ষার্থীর সংখ্যায় দেশের সব থেকে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ । এই কলেজে এসে আমি উচ্ছ্বসিত। সরকারি তিতুমীর কলেজে নবনির্মিত ও নির্মানাধীন ১০ তলা দুটি একাডেমিক ভবন ও দু’টি হল এবং পাশাপাশি ‘হৃদয়ে মুজিব’ শিরোনামের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৫ ঘটিকায় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা'র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
স্থাপনাগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি অনেক দূর এগিয়েছে। যা সামনের দিনে আরও এগিয়ে যাবে। শিক্ষার সকল স্তরে মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের সবাইকে একটা লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন। আমরা সকলে একযোগে সেই লক্ষে কাজ করতে যাব। যেন আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারি। যেন সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে পারি। কারণ দেশ আমাদের সকলের। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিতুমীর কলেজের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আজকে তিতুমীর কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, দুটি ভবন ও শিক্ষার্থীদের দুটি হল উদ্বোধন করেছি। তিতুমীর কলেজ অনেক বড় কলেজ। এখানে অনেক উন্নতি হচ্ছে। আরও হবে বলে আশা করছি। বক্তব্যে তিনি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ, কলেজ অধ্যক্ষ ও সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা বলেন, তিতুমীর কলেজের আজকের এই বিশেষ দিনে মন্ত্রী মহোদয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলে আমরা তিতুমীর কলেজে ১০তলা ৪ টি ভবন পেয়েছি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে তিতুমীর কলেজে এই প্রথম ‘হৃদয়ে মুজিব’ শিরোনামে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল স্থাপন করেছি। এতে করে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশ মাতৃকার সেবা করবে বলে আশা রাখছি।
তিনি আরও বলেন, একসময় এই ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা, তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অরাজকতা চালাতো। কিন্তু আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার নির্দেশনায় তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে ছাত্রলীগ গড়ে উঠেছে। এই ক্যাম্পাসে এখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নেই। অতীতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে স্থানীয় জনগণের দ্বারা নিপীড়িত হতে হতো, কিন্তু আজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকায় স্থানীয় জনগণ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদেরকে সমীহ করে চলে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরি করে দিতে পেরেছি, এটিই আমাদের সাফল্য।
এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, ১০ তলা ৪টি ভবনের নাম ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও শেখ হাসিনা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনএবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রাবাস ও 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস।