ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মানে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল থাকাঃ তালাত সুলতানা

সিয়াম মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ১৮, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মানে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল থাকাঃ তালাত সুলতানা
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চোখের সামনে থাকা মানে সকলের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুজ্জ্বল থাকা বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ তালাত সুলতানা ম্যাম। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজে আগামীকাল 'হৃদয়ে মুজিব' নামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পাশাপাশি একই দিনে কলেজের নির্মাণাধীন দশ তলা দুটি একাডেমিক ভবন ও ছেলেদের একটি এবং মেয়েদের একটি নির্মাণাধীন হল উদ্বোধন করা হবে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে 'হৃদয়ে মুজিব' বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, নরসিংদী-৩ আসনের সাংসদ জনাব সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

এসময় এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকবেন৷

এ বিষয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ তালাত সুলতানা ম্যাম বলেন, ১৮ তারিখ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, নতুন দুই হল ও একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করবেন। বিষয়টি আমাদের জন্য অতন্ত্য গর্বের এবং আনন্দের, যে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করতে পেরেছি। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পসে আসবে, মাঠের দিকে তাকালেই বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখতে পারবে। তাছাড়া, চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থাকা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল থাকা। তিতুমীর কলেজ ব্যতীত ঢাবি অধিভুক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল রয়েছে কিনা, তা ঠিক আমার জানা নেই। আমার মনে হয়, আমরাই প্রথম যাদের প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আলাদা ম্যুরাল তৈরি হয়েছে। তাছাড়া নতুন একাডেমিক ভবন চালু হলে কলেজের প্রশাসনিক কাজে এবং হল উদ্বোধন এর ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক সুবিধা হবে। 

কলেজে বর্তমানে শ্রেণিকক্ষ আছে মাত্র ৪৩টি। প্রতিটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা সর্বোচ্চ তিন-চারটি। আবার দুটি মাত্র শ্রেণিকক্ষ আছে, এমন বিভাগও আছে। পরীক্ষা শুরু হলে শ্রেণিকক্ষগুলো পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে ক্লাস নেওয়া তখন বন্ধ হয়ে যায়। নতুন দশ তলা দুটি ভবন উদ্বোধন নিয়ে উচ্ছ্বাসিত সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। এই দুই ভবন চালুর মাধ্যমে তিতুমীর কলেজের দীর্ঘদিনের শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরাসন হবে।

তিতুমীর কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, তিতুমীরে দুইটি একাডেমিক বিল্ডিং ও দুইটি হল একসাথে উদ্বোধন হলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উপকৃত হবে। আমরা জানি, তিতুমীর বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থী সংখ্যায় সর্ব বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য তিতুমীরে প্রচুর আবাসন সংকট ও ক্লাসরুম সংকট লক্ষ্য করা যায়। এমনও দেখেছি, ক্লাসরুমের অভাবে ক্লাস করা সম্ভব হয়নি, মাঠে বসে ক্লাস করতে হয়েছে। তাই একাডেমিক ভবনগুলো চালু হলে ক্লাসরুম সংকট অনেকাংশে কমে যাবে এবং হল চালু হলে অনেক শিক্ষার্থী হলে থাকার সুযোগ পাবে। এতে অনেক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।

সত্যিই তিতুমীরিয়ান হিসেবে দুইটি একাডেমিক বিল্ডিং ও দুইটি হল একসাথে পাওয়া আমাদের জন্য অনেক আনন্দের সংবাদ।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, নতুন দুই হল ও একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, নতুন ভবন এবং নতুন হল  উদ্বোধন উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, এতে উচ্ছ্বোসিত শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের ও ছেলেদের জন্য দুটি হল চালু হলে প্রায় তিন হাজার আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে পুরোপুরি কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধন হলেও, এখনি হলে উঠতে পারবেনা শিক্ষার্থীরা।