ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো থেকে রুশ সেনারা সরে গেলেও বিভিন্ন স্থানে এখনও হামলা চলছে। তবে রাশিয়ার এই আগ্রাসন যে শুধু ইউক্রেনে সীমাবদ্ধ নয় সে ইঙ্গিত দিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিবিসির লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন কখনোই ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো ইউরোপই তাদের টার্গেটে রয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসন সবাইকে ভুগতে হবে জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, কঠিন লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেন তৈরি রয়েছে। কারণ, রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধে আমরাই জয়ী হব।
এসময় রাশিয়ার জ্বালানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি আরও অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। সূত্র : বিবিসি