ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

১৩তম ধাপে

ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৫৩৫ রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, এপ্রিল ১, ২০২২

ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৫৩৫ রোহিঙ্গা
কক্সবাজার থেকে ১৩তম ধাপের দ্বিতীয় দিন নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও এক হাজার ৫৩৫ রোহিঙ্গা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে এক হাজার ৯৯৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গার সংখ্যা ‌২৯ হাজার ১১৬ জনে দাঁড়ালো। ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার এক হাজার ৫৩৫ রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে গাড়িযোগে ৭৩, ৭৪ ও ৮৬ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৮০৪, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে তিন হাজার ২৪২, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে তিন হাজার ১৮, পঞ্চম ধাপে ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১, ৬ষ্ঠ ধাপে ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২, সপ্তম ধাপে ২৫ নভেম্বর ৩৭৯, অষ্টম ধাপে ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২, নবম ধাপে ৬ জানুয়ারি ৭০৫, দশম ধাপে ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ২৮৭, একাদশ ধাপে এক হাজার ৬৫৫, দ্বাদশ ধাপে দুই হাজার ৯৮২ ও ত্রয়োদশ ধাপের প্রথম দিন এক হাজার ৯৯৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।

নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ সরকার।