পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচটা। শেষ বল পর্যন্ত টিকে ছিল রোমাঞ্চ। একটু এদিক ওদিক হলেই ম্যাচটা জিততে পারত স্বাগতিক উইন্ডিজ। তবে হলো না। ভারতের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা শেষমেশ পুড়ল ৩ রানের আক্ষেপে।
দিনের শুরুটা সঙ্গ দিয়েছিল উইন্ডিজেরই। টস জিতেছিলেন অধিনায়ক নিকলাস পুরান, ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ভারতকে। তবে তার সিদ্ধান্তটা ভুল প্রমাণ করেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দেড় বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা শুভমন গিলকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ১১৯ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে মাথায় শুভমন বিদায় নিলেও ক্রিজে ছিলেন ধাওয়ান। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন দলকে।
সেঞ্চুরির দেখাটাও পেয়ে যেতে পারতেন। তবে তার সঙ্গী হয় ৩ রানের আক্ষেপ। ৯৭ রান করে তিনি যখন ফিরছেন, তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ২১৩ রান। ইনিংসের তখনো ১৬ ওভার বাকি ছিল। হাতে ছিল আট উইকেট, তবে এরপরও শেষ ১৬.২ ওভার থেকে কেবল ৯৫ রানই তুলতে পারল ভারত।
তিনে নামা শ্রেয়াশ আইয়ার ৫৪ রান করলেও ভারতের এর পরের গল্পটা ব্যর্থতারই। সূর্যকুমার যাদব (১৩), সাঞ্জু স্যামসনরা (১২) দ্রুতই ফেরেন। এরপর দীপক হুদা আর অক্ষর পাটেলের ২০ ছাড়ানো দুই ইনিংসে রানটা কোনোক্রমে ৩০০ পার করায় ভারত। উইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৩০৯ রানের।
জবাবে ওপেনার শেই হোপ দ্রুত ফিরলেও কাইল মায়ার্সের ৭৫, শামার ব্রুকসের ৪৬ রানের ইনিংসে ভারতকে চাপে রেখেছিল উইন্ডিজ। তবে দুই ওভারের ব্যবধানে ব্রুকস আর মায়ার্সের দুই জনই বিদায় নেন। ফলে উইন্ডিজ চাপে পড়ে যায়।
এরপর পুরানকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় ব্রেন্ডন কিংসের লড়াই। পুরান ২৫ রানে ফিরলেও কিং তুলে নেন ফিফটি। তবে জয়ের জন্য যখন ৩৩ বলে ৫৭ রান চাই দলটির, তখনই ফিরলেন তিনি। টি-টোয়েন্টির যুগে এমন কিছু অসম্ভব নয় আদৌ। সেটাই প্রায় করে দেখাচ্ছিলেন আকিল হোসেইন এবং রোমারিও শেফার্ড। দু’জনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। তবে শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে দলটি থামে ভারত থেকে তিন রানের দূরত্বে থেকে। শেষ ওভারে ১৬ রান তুলতে ব্যর্থ হন দু’জনে। ফলে ভারতও সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।