মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর চিত্রনায়িকা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করার বিরোধিতা করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু তার কথা আমলে নেয়নি সমিতি। তার মতকে উপেক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বলে জানিয়েছেন ‘বেদের বেয়ে জোসনা` খ্যাত এ অভিনেতা।

ইলিয়াস কাঞ্চন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, `পরীমনির সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে  কথা বলা হলেও আমার মতকে গুরুত্ব দেয়নি সমিতি।` 

‘বেদের বেয়ে জোসনা` খ্যাত এ অভিনেতা বলেন, ‘ওদের জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কী বলেছিল? আমি কিন্তু সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটি নিষেধ করেছিলাম। হ্যাঁ, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তখন আমি বলেছিলাম, একজন শিল্পীর নামে মাত্র অভিযোগ এসেছে। কোনো কিছুই প্রমাণ হয়নি। অভিযোগ যখন প্রমাণিত হয়নি, কী কারণে তোমরা সদস্যপদ স্থগিত করবে?তখন তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, আমরা তো স্থায়ীভাবে করছি না। সাময়িকভাবে করছি। এর জবাবে আমি বলেছিলাম, এমন স্থগিত করার কি দরকার! স্থগিত করাটা ঠিক হবে না। সংবিধান অনুযায়ী এটা করাটা ঠিক হবে না। নিয়মানুযায়ী একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তাকে নোটিশ করা যেতে পারে। সতর্ক করা যেতে পারে। কিন্তু সদস্যপদ স্থগিত করা মোটেও ঠিক হবে না।’

পরীমনি আটকের পর তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলন করে তার সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির নেতারা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, স্থগিতের বিষয়ে আমার মতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে ওরা বলেছিল, অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। এখন অন্যরা কী বলছে, তা তো আমি বলতে পারব না।’

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকেও একই মত দিয়েছেন বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের আগে মিশা সওদাগর আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। আমি তখন তাকে বলেছি, সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।’

তবে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার কেউ নন তিনি। পরীমণির বিষয়ে সিদ্ধান্তটি কমিটির ২১ জন সদস্য মিলে নিয়েছেন, যাদের মধ্যে আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানার মতো জ্যেষ্ঠ শিল্পী রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়িকা পরীমনি গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় তার বনানীর বাসা থেকে আটক হন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর দুই দিন পর এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে সবাদ সম্মেলনে পরীমনির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পি সমিতি।