আরজি করকাণ্ডের জন্য সুবিচার চেয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী ও সাবেক তৃণমূল সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। তিনি স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, বুধবার সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রশ্ন করেন— ‘সত্যিই কি আমরা স্বাধীন?’
এ অভিনেত্রীকে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশ্ন উঠেছিল— সন্দেশখালীকাণ্ডে তিনি কেন চুপ ছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে নুসরাত জাহান বলেছিলেন, এলাকায় ‘১৭৪ ধারা’ জারি রয়েছে। সংসদ সদস্য গেলে তার পরিষদরাও যাবেন, অযথা ভিড় বাড়বে, তাই তিনি যাননি। সেই সময় তার এ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। অর্থাৎ তিনি ১৪৪ ধারাকে ভুল করে ১৭৪ ধারা বলে ফেলেন। তৃণমূল কংগ্রেস নুসরাত জাহানকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আর টিকিট দেয়নি।
কিন্তু আরজি করকাণ্ড নিয়ে এবার চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। মৃতা চিকিৎসক পড়ুয়ার জন্য সুবিচার চেয়ে নুসরাত একটি পোস্ট করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন সামাজিকমাধ্যমে এ অভিনেত্রী একটি পোস্ট দেন। সেখানে শুরুতেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নুসরাত লেখেন, আরজি কর মেডিকেল কলেজের মর্মান্তিক ঘটনা কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। নারীরা কি আদৌ নিরাপদ? বেশি রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থই কি এ ধরনের হিংসাকে আহ্বান জানানো? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন? ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস আমাদের সামনে। আর এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল কলকাতা আর ‘সিটি অফ জয়’ রইল না।
নুসরত ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও লিখেছেন, একজন কর্মরত চিকিৎসক রাতে কাজ করছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হলো। আমাদের সমাজে যে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিল এই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা কল্পনাও করতে পারি না— ওর পরিবার এ ঘটনা জানতে পেরে কতটা যন্ত্রণা পেয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। যারা প্রশাসনে বা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে আমি এ ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করছি। এই নৃশংস ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। সবার জন্য সুরক্ষিত পরিবার গড়ে তোলার সময় এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালী। নুসরাতের সংসদ এলাকা বসিরহাটের অন্তর্গত ছিল সন্দেশখালী। জমি দখল থেকে শুরু করে নারীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতির জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল।