ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, অক্টোবর ২১, ২০২৪ |

EN

বান্দরবানে সেনা সদস্য হাবিবুর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

বান্দরবানে সেনা সদস্য হাবিবুর হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ


মো. মাইন উদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২

বান্দরবানে সেনা সদস্য হাবিবুর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
বুধবার সকালে বান্দরবানে সেনা সদস্য হাবিবুর হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। 

বিক্ষোব মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশটি খাগড়াছড়ি শাপলা চত্ত্বর থেকে শুরুকরে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ তরে পূরায় শাপলা চত্ত্বরে মানববন্ধনে মিলিত হয়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় পাহাড়ে শান্তিচুক্তি ভঙ্গকারী সন্তু লারমার লালিত জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির ঘটনায় দায়ী করে সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে শ্লোগান দেয় তারা। 

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি মো. আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদের সভানেত্রী সালমা আহমেদ মৌ, নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জ ামান ডালিম, জেলা শাখার সহ-সভাপতি এস এম হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেনসহ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহলে ব্রাশফায়ারে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমানকে হত্যা ও একজন সেনা সদস্যকে আহত করার মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী অপতৎপরতা এবং পাহাড়ে অশান্তির চেষ্টা শুরু করেছে জেএসএস নেতা সন্তু লারমা ও তার দোসররা।

শান্তিচুক্তির নামে সন্তু লারমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্যবাসীর সাথে প্রতারণা করেছেন। পাহাড়ে জেএসএস, ইউপিডিএফ, সংস্কারের নামে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ বানিয়ে জাতীয় পতাকা ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাভোগ করেও সন্তু লারমার হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়নি। পার্বত্য নাগরিক পরিষদ পার্বত্য এলাকায় সকল ধর্ম ও গোত্রের সমঅধিকার নিশ্চিতসহ শান্তিচুক্তি বাতিল অথবা পুণর্মূল্যায়ণ এবং সন্তু লারমাকে সকল হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।