ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, অক্টোবর ২১, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ীতে বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস,সংক্রমনের আশংকা

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২

ফুলবাড়ীতে বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস,সংক্রমনের আশংকা
করোনা সংক্রমন রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে দেধারছে চলছে ক্লাস। এতে শিক্ষার্থীদের সংক্রমনের আশংকা দেখা দিয়েছে।

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমনের পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারী থেকে ৬ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত সকল প্রকার স্কুল,কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়ে,গত ২১জানুয়ারী মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের যুগ্ন- সচিব মো: সাবেরুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি চিঠিতে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ থেকে প্রঙ্গাপন জারী করা হয়। সেটি কার্যকর করতে স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক সহ ৮টি দফপ্তরে অনুলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তিতে পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৭ ফেব্রয়ারী থেকে ২১ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে গত ৩ ফেব্রয়ারী আরো একটি প্রঙ্গাপন জারী করেন মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভুইয়া। সরকার ঘোষিত সেই নির্দেশ অমান্য করে বিধিনিয়েধের তোয়াক্কা না করে দেধারছে চলছে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আজ বুধবার সরেজমিনে উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট এলাকার “ভোরের আলো” বিদ্যানিকেতন নামে একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ক্লাস রুম গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা গাদাগাদি করে বসে স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে ক্লাস। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদে মুখেই মাক্স নেই, বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীতে ১৮জন ৪র্থ শ্রেনীতে ২২জন এবং ৫ম শ্রেনীতে ২৩জন  শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।

কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: জেবা ফারিয়া জুঁই,সহকারী শিক্ষক মো: মিলন হেসেন, সহকারী শিক্ষিকা তিথি মহন্তের সাথে। জানতে চাইলে তারা বলেন যেহেতু এটি একটি গ্রাম এলাকা তাই আমরা স্বল্প পরিষরে কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছি সারকারী বিধিনিষেধ সম্পর্কে তারা অবগত আছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন বিষয়টি জানি তবে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন তার নির্দেশেই বিদ্যালয় পরিচালনা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা’র সাথে কথা বলার জন্য খোঁজ করলে তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি, উপস্থিত শিক্ষকদের কাছে তার মোবাইল নম্বার চাইলে তারা এড়িয়ে যান। একই চিত্র  দেখা মেলে ওই ইউনিয়নের দামারপাড় এলাকার বেসরকারী এনজিও বেসিক পরিচালিত “মালঞ্চা বেসিক” স্কুলে ৩১জন এবং মাদিলা হাট বাজারের “সান হিয়া সেমি ইংলিশ মিডিয়াম” স্কুলে ৭০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানেও গাদাগাদী করে মাক্স ছাড়াই ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। সান হিয়া সেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু হেলাল বলেন, করোনার কারনে দির্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের ঘরভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আয় রোজগার বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় কাটাতে হয়েছে,তাই বর্তমানে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প পরিসরে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন জানান, যদি কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত শিঘ্রই ব্যাবস্থা নেয়া হবে।