ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, জুলাই ৭, ২০২৪ |

EN

শিক্ষক আন্দোলন

বিদ্যালয় গুলোতে ঝুলছে তালা,ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২, ২০২৩

বিদ্যালয় গুলোতে ঝুলছে তালা,ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
বে-সরকারী শিক্ষকদের জাতীয় করনের দাবীতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনের ফলে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো বেশ কিছুদিন ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতেকরে লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের। বিপাকে পড়েছে ২০২৪ সালে অংশগ্রহনকারী এসএসসি পরিক্ষার্থীরাও।

জানাগেছে, উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক ও ৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বে-সরকারী এমপিও ভুক্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষকেরা তাদের চাকুরি জাতীয় করনের দাবীতে গত ১৬ জুলাই থেকে ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছে, এর মধ্যে গত ২০ জুলাই থেকে ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত শ্রীষ্মকালিন ছুটি বাতিল করা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষকের আন্দোলন এখনো থামেনি, কবে নাগাত থামবে তাও কেউ বলতে পারছেনা।

কয়েকজন এসএসসি পরিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করারসত্বে জানায়, গত ২০২০-২০২১ সালে অতিমারী করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে বিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ থাকায়, তারা লেখা-পড়া করতে পারেনি। এখন ২০২৩ সালের জুলাই শেষে আগষ্ট শুরু হয়েছে, এসএসসি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়, এখন আবারো বিদ্যালয় বন্ধ।এখন তারা কিভাবে প্রস্তুতি নিবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারী ও প্রাইভেট বিদ্যালয় গুলো খোলা থাকায় ওই শিক্ষাথীরা ভালভাবে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছে।কিন্তু এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকায়, তারা সেই প্রস্তুতি নিতে পারছেনা, এতেকরে আসন্ন ২০২৪ সালের এসএসসি পরিক্ষার ফলাফল বিপর্যয় ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,রাজারামপুর এসইউ উচ্চ বিদ্যালয়, সমশের নগর উচ্চ বিদ্যালয়, এস শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রুদ্রানী উচ্চ বিদ্যালয়, রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর লক্ষিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, খয়েরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌরাইট মহেষপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চাঁদপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে  গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট সহ ঘরে ঘরে তালা ঝুলছে। এছাড়া অনান্য বিদ্যালয় গুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে,সবকটি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষক আন্দোলনের কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায়, তাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত লেখাপড়া করছেনা, এতেকরে তাদের ভবিষৎ নিয়ে তারা উদিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়া  চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা ক্লাস শুরু না করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তফা ( জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস আরাম্ভ করা হবে।