বর্তমানে মেট্রোরেলের যাত্রীরা যে র্যাপিড পাশ বা কার্ড নিয়ে চলাচল করছেন, সেটি দিয়েই ঢাকা নগর পরিবহণের বাসে চলাচল করতে পারবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রাজধানীতে আরও দুই রুটে আগামী মে মাসের শেষে বা জুন মাসের প্রথমে ঢাকা নগর পরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। নতুন দুই বাস রুটের নম্বর ২৪ ও ২৫। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন দুই মেয়র। বাস রুট কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, এরই মাঝে এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দুটি বাস রুট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দুটি রুটের ব্যাপারে সভায় বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, উন্নত দেশগুলোতে যাত্রীরা একটি কার্ড দিয়েই মেট্রোরেল ও বাসে চলাচল করতে পারেন। যেগুলো ওয়ান কার্ড বা অক্টোপাস কার্ড নামে পরিচিত। তেমনি মেট্রোরেলের যাত্রীরা যে র্যাপিড পাশ বা কার্ড নিয়ে চলাচল করছেন, সেই পাশ বা কার্ড দিয়েই নগর পরিবহণের সব বাসে চলতে পারবেন; এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে সভায়। একটি কার্ডেই নগরবাসী মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহণে চলতে পারবেন।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলাচল করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৪ নম্বর রুটটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে বসিলা হয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসী ফ্লাইওভার হয়ে বিমানবন্দর-জসীমউদ্দীন হয়ে আবদুল্লাহপুর যাবে। আর ২৫ নম্বর রুটে ঘাটারচর থেকে বসিলা হয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-শাহীন স্কুল-মহাখালী (উড়াল সেতুর নিচ দিয়ে) কাকলী-বনানী উড়াল সেতু হয়ে রিজেন্সি-বিমানবন্দর-জসীমউদ্দীন হয়ে আবদুল্লাহপুর যাবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক, দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. এসএম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধি ওসমান আলী, ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধি আজমল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।