ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪ |

EN

সোহরাওয়ার্দীতে কোনো সমাবেশ আমরা করবো না: এ্যানী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২২

সোহরাওয়ার্দীতে কোনো সমাবেশ আমরা করবো না: এ্যানী
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চায়নি জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছি; সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ। আমরা সেখানে কোনো সমাবেশ করবো না। সেটা আমাদের স্ট্যান্ড।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এ্যানী বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলেছি; অতীতে বিএনপি অফিসের সামনে অনেক প্রোগ্রাম হয়েছে। মহাসমাবেশ হয়েছে। অফিসের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই।

‘ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, রাস্তায় সমাবেশ দেবে না’— এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিএমপির অনুরোধে আমরা পরবর্তীতে বলেছি যে, বিএনপির পার্টি অফিসের পাশে আরামবাগ আইডিয়াল স্কুলের সামনে যে স্থানটি রয়েছে, আশেপাশে মাঠও আছে। আমাদের সমাবেশের দিনটি বন্ধের দিন। সেখানে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি, বিকল্প হিসেবে। আমরা তাদের কাছে সেই সহযোগিতা কামনা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী তারা সেখানে আমাদের সহযোগিতা করবেন।

আরামবাগে যদি স্থান দেয় ডিএমপি। তখন কী করবেন? জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা তো রাজপথের লোক। সড়ক ছাড়া কোথায় করব? আমরা রাজপথটাকে বেছে নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদেরকে তারা রাজপথে প্রোগ্রাম করতে দিতে বাধ্য হবে। যদি তা না করেন, তাহলে দায়-দায়িত্ব তাদের উপরে বর্তায়। দায় তাদেরকে নিতে হবে। নয়াপল্টনের এরিয়াতেই আমাদের থাকতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরাই ইতোমধ্যে অনেকবার আমাদের কথাগুলো তুলে ধরেছি ডিএমপিতে লিখিত আকারে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাহিরে নয়াপল্টনের সমাবেশ করব সেই অনুমতি চেয়েছি। এরপরও আমার ডিএমপি সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আমরা বারবার বলেছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ।’ 

ডিএমপি থেকে বলা হয়েছে উন্মুক্ত মাঠে দেবেন। সেই মাঠটি কোথায়—এমন প্রশ্ন রেখে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘একটু দেখে দেন। আমরা তো কোনো উন্মুক্ত মাঠ দেখি না। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর এখন আর উদ্যান নেই, এটি পার্কে পরিণত হয়েছে। আর সেখানে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র লুকায়িত আছে। এটা আমরা জানি বুঝি। সেই কারণে আমরা মনে করছি এটি অনিরাপদ।’