ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

পিরোজপুর বাসীর অপেক্ষার সমাপ্তি

উদ্বোধন হলো বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

উদ্বোধন হলো বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু
উদ্বোধন করা হলো পিরোজপুর বাসীর স্বপ্নের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুর। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় গনভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আর, এর মধ্য দিয়েই বৃহত্তর খুলনা-বরিশাল বিভাগের সাথে সরাসরি সেতুবন্ধন রচিত হলো। এর মাধ্যমেই পিরোজপুর বাসীর অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটলো।

উদ্বোধন ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর  দুই প্রান্তের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।

২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় কচা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর বেকুটিয়া পয়েন্টে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতু এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ১৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই পিসি বক্স গার্ডার সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার এই সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যায় করেছে ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ মাস আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে গত ৭ অগাস্ট চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে ঢাকায় চীনা দুতাবাসের ইকনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির হস্থান্তর করেন।

সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর তীরে ২২০ মিটার দীর্ঘ ও ৫৫ মিটার প্রস্থের বিনোদন এলাকা উন্নয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক সংলগ্ন ৬০ মিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রস্থের বিটুমিনাস সড়ক, এপ্রোচ সড়কের নিচে ৬০ মিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক এবং পশ্চিম প্রান্তে ১২০ মিটার দীর্ঘ এবং তিন দশমিক ৫০ মিটার প্রস্থের কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২২০ মিটার নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে।