গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাড়িতে প্রবেশ পথে টিন ও গভীর নলকূপের পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই পরিবারের লোকেরা।
এতে বাড়িটির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা । এছাড়া একমাত্র গভীর নলকুপের পানি নিতে না পারে পুকুরের পানি পান করতে হচ্ছে তাদের।
দুই স্থানের বেড়া খুলে চলাচলের ব্যবস্থা করতে কোটালিপাড়া থানা অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের জগদীশ বিশ্বাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গ্রামের নকুল বিশ্বাসের ছেলে রাম বিশ্বাস, শক্তি বিশ্বাস, শ্যামল বিশ্বাস,ল²ণ বিশ্বাস ও ভরত বিশ্বাসে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমুরিয়া গ্রামের জগদীশ বিশ্বাসের বাড়িতে প্রবেশের পথে টিন ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওই বাড়িতে সাতটি পরিবারের জন্য সরকারি ভাবে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে। ওই টিউবওয়েলের পাশেও বেড়া দেখা যায়। এতে পানি নিতে পারছে না ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য অঞ্জু বিশ্বাস বলেন, এই বাড়িতে আমাদের চার পুরুষের বসবাস। ঠাকুর দাদার জমির সমান তিন ভাগ করে ভোগ করে আসছি, সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ির পুরুষের কাজে গেলে রাম বিশ্বাস তার লোকজন নিয়ে রাস্তায় বেড়া দেয়। আমরা নিষেধ করতে গেলে আমাদের ধেয়ে মারতে আসে। পরে আমরা ওখান থেকে চলে আসি। ওই রাস্তা সরকার থেকে করে দিয়েছে। আমদের যে জমি দিয়েছিলো তাও তারা দখল করে নিয়েছে অথচ আমরা সব জমির এক তৃতীয়াংশের মালিক।
তাছাড়া বাড়িতে একটা মাত্র পানির টিউবওয়েল ওই টিউওবয়েল থেকে পানি পান করতাম। সেই পানির টিউবওয়েলে বেড়া দিয়ে রেখেছে। আমরা বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি পান করছি।
তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের কোন জায়গা দিতে চায়না দুদিন আগে আমাদের পুকুর দখল করে পুকুরের বড় বড় মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় এবং সেখানে মাছে চাষ করছে। গতকাল আদালতে মামলা করেছি। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে রাম বিশ্বাসে বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, কথা হয় তার স্ত্রী অঞ্জলী বিশ্বাস ও ভাই শক্তি বিশ্বাসের সাথে, তারা বলেন আমাদের সব জমিতে অংশ আছে তাই মাছ ছেড়েছি। তাদের হাটতে দিবো না বলেই রাস্তায় বেড়া দিয়েছি। শনিবারে থানায় ডেকেছে সেখাানে যা হবার হবে।
কলাবড়ির ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস বলেন, ওই বাড়িতে গতকাল যখন পুলিশ আসে তখন আমি বিষয়টা জানতে পারি। শনিবার থানায় বিষয়টা নিয়ে বসবে এবং মিমাংসা হবে আশা করি।
কোটালিপাড়া থানা পরিদর্শক মো. হাসমতউল্লা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি সেখানে গিয়েছিলাম তাদের বলে এসেছি বেড়া তুলে নিতে। শনিবার থানায় দুপক্ষকে ডাকা হয়েছে।