দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে পুরোনো এলসির গম আমদানি। আমদানি বাড়ায় বন্দরে কমেছে গমের দাম। প্রতি কেজি গমের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা কমেছে।
এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে পাইকারদের মাঝে। অন্যদিকে নতুন করে গম আমদানির অনুমতি পেলে দাম আরও কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের।
গত ১২ মে হঠাৎ করে গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তবে এর আগের করা এলসির গম রপ্তানি করার কথা থাকলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেশ কয়েদিন গম আমদানি বন্ধ থাকার পর ২৯ মে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় পুরোনো এলসির গম আমদানি। শুরুর দিকে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও এখন তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি বাড়ায় বন্দরে কমেছে গমের দাম। প্রতি কেজি গমে ৫ থেকে ৬ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা দরে। এতে পাইকারদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও আমদানি কারকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ ভারত সরকার নতুন করে গম আমদানির অনুমতি না দিলে খুব শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে পুরোনো এলসির গম। এতে যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে গম আমদানি।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, হিলি বন্দরে আগের এলসি করা গম আমদানি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে দাম কিছুটা কমছে। ভারত সরকার আবার নতুন করে গম আমদানির অনুমতি দেবে বলে আশা করছি।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বন্দরে আমদানিকৃত গম ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ছাড় করতে পারেন সেদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে। ২৬ কর্মদিবসে ভারত থেকে ৩৬১টি ট্রাকে পুরোনো এলসির ১৪ হাজার ১৬৪ মেট্টিক টন গম আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।