ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সার্ভার হ্যাক করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২ বাংলাদেশি হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল নোমান মিরাজ ও রাশেদুল ইসলাম।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সার্ভার হ্যাক করে মাত্র ১৫ দিনে এয়ারলাইন্সটি থেকে টিকিট ইস্যু করে তারা ১ কোটি ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে রাশেদুল রেনেসাঁ এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক কর্মী। মিরাজ ছিলেন ইন্ডিগোর এজেন্ট। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। জব্দ করা ডিভাইসে ইন্ডিগোর ওয়েবসাইটে লগইন করার আলামত পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিটির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, ভারতীয় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে রেনেসাঁ এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেড। গত ১৬-৩১ মে সেলস রিপোর্টে কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, ফাতিন এয়ার সার্ভিসেস নামে তাদের অন্য একটি এজেন্সি বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার অপ্রত্যাশিত সংখ্যক টিকিট ইস্যু করেছে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।এরপরই কর্তৃপক্ষ ইন্টারনাল সিস্টেম ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, ফাতিন এয়ার সার্ভিস গত তিন বছর ইন্ডিগোর সার্ভিস ব্যবহার করে কোনো টিকিট ইস্যু করেনি। এ বিষয়ে ১৩ জুন বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত শুরু করে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। ইন্টারনেট রেফারেল টিম ইন্ডিগোর সার্ভারের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকারদের শনাক্ত করে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ চক্রের দেশি বিদেশি অন্য সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।