সম্প্রতি রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে। আইয়ুব বাচ্চু’র পরিবার ও কপিরাইট অফিসের যৌথ প্রয়াসে একটি প্লাটফর্মে আইয়ুব বাচ্চুর সকল গান, গিটার থেকে শুরু করে সবকিছুর একটি সন্নিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

তবে আফসোসের গল্প এটাই যে আইয়ুব বাচ্চু’র জীবদ্দশায় তিনি তা দেখে যেতে পারলেন না। তাই এবারে শিল্পী পরিবার ও কপিরাইট অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোক্তা মিলেই বরেণ্য শিল্পীদের গানসহ নানান সংগৃহিত নথির একটি ডিজিটাল আর্কইভ তৈরির কথা ভাবছেন। এ পর্যায়ে নগর বাউল জেমস এর অগনিত জনপ্রিয় গান নিয়ে এর একটি পরিকল্পনা এরই ভেতরে শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নগরবাউল জেমসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,‘উদ্যোগটা নেয়া হলে সাধুবাদ জানাই। তবে আমি অফিসিয়ালী কোনো কিছুই জানি না। এ ব্যাপারে আমার ম্যানেজারই কথা বলবে।’

উল্লেখ্য, নগরবাউল জেমস করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের স্টুডিও ও ঘরের বাইরে খুব একটা বের হননি। নতুন গানও রিলিজ করেননি। তবে তার অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছে তার ভক্তরা। শারীরিক কুশলাদি জানতে চাইলে জেমস বলেন,‘ ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ। সবার জন্য আমার ভালবাসা রইল।’

নগরবাউল জেমস এর গান নিয়ে এই ডিজিটাল আর্কইভ প্রসঙ্গে কপিরাইট অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘আমরা যোগাযোগ করেছি। প্রাথমিকভাবেও আলাপ হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই চুড়ান্ত একটি পরিকল্পনায় আমরা পৌঁছতে পারবো।’

উল্লেখ্য, ডিজিটালী গানের বাজারে এখন শিল্পীরা অনেকেই নিজ উদ্যোগে ইউটিউব বা বিভিন্ন প্লাটফর্মে গানের বিপণন করছেন। সেক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে এই কাজটি হলেও খুব একটা সাংগঠনিক ভাবে বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এ ধরণের নজির খুব কম। সেক্ষেত্রে নগরবাউল জেমসের অগনিত গানের এই আর্কাইভ তার সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদেও জন্য দারুন এক সুখবর হবে। এর বাইরে আরো কয়েকজন বরেণ্য শিল্পীদের নিয়েও এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।