ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ |

EN

হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী খালিদ হাসান মিলু

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ২৫, ২০২২

হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী খালিদ হাসান মিলু
স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, দেশের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী খালিদ হাসান মিলু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন! প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা গানের যুবরাজখ্যাত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইতে এমন দাবি করা হয়েছে। 

যুগান্তরের এক প্রতিবেদন বলছে  তাতে লেখা আছে, খালিদ হাসান মিলু মারা যান ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ। সবাই জানেন, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগার পর তিনি মারা যান। কিন্তু সোহেল অটলের লেখা, আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। আসিফ জানিয়েছেন, খালিদ হাসান মিলুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। বইতে লেখা হয়েছে, ‘আসিফ মনে করেন, এ মুত্যু একটা হত্যাকাণ্ড। খালিদ হাসান মিলু সুস্থই ছিলেন। তার মাথায় চামচ দিয়ে আঘাত করার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সুস্থ হতে পারেননি। এ হত্যাকাণ্ডের কথা আসিফ আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গেও শেয়ার করেছেন। বাচ্চু চেপে থাকতে বলেছেন। ঘটনার দিন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এক ড্রামারের বাসায় ছিলেন মিলু। আরও ছিলেন একজন প্লেব্যাক গায়ক এবং সংগীত পরিচালক। সবাই মদ্যপান করছিলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লম্বা, ভারী এক চামচ দিয়ে মিলুর মাথায় আঘাত করা হয়। ছয় ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার মিলু সে আঘাত পেয়েও জ্ঞান হারাননি। তবে প্রচুর ব্যথা পান। আসিফের ধারণা, ওই আঘাতেই তার ব্রেন হ্যামারেজ হয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তার মৃত্যু হয়।’

বইটিতে সংগীতাঙ্গনের থ্রি-বি ফ্যাক্টর নিয়েও আলোচনা উঠে এসেছে। কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চু ও বেবী নাজনীনের নামে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘থ্রি-বি হচ্ছে বেবী, বাচ্চু, বিশ্ব। থ্রি-বি কথাটা কেন চালু হলো? কারণ, এ তিন গুণী শিল্পী শো করতে গেলেই নাকি অন্যদের ডিস্টার্ব করে দেন। সব সময় শোতে তাদের অনুগত সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে যান। নিজেদের গাওয়ার সময় খুব ভালো সাউন্ড বের হয়। দর্শক-শ্রোতার হাততালি উপভোগ করেন তারা। তাদের গানের সময় বাদেই কম্মটা সেরে ফেলেন। আগে পরে যারাই গান করেন, ভীতিকর অভিজ্ঞতা হয় তাদের জন্য। বাজে-বিশ্রী সাউন্ড বের হয়। অন্যরা শান্তিমতো শো করতে পারেন না। অর্থাৎ নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতেই এ কপটতার আশ্রয় নেন থ্রি-বি।’ বইয়ের এসব ঘটনা প্রসঙ্গে লেখক সোহেল অটল যুগান্তরকে বলেন, ‘এই বইতে প্রকাশিত কোনো তথ্য কিংবা ঘটনাই লেখকের মনগড়া নয়। আসিফ আকবর এবং সংশ্লিষ্ট সোর্সের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সব লেখা হয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রকাশনা সংস্থা সাহস পাবলিকেশন্স থেকে ‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ বইয়ের প্রি-অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। এতে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনের গল্পের পাশপাশি সংগীতাঙ্গন, রাজনীতির অনেক বিষয় উঠে এসেছে।