দেশসেরা দুই কণ্ঠশিল্পী জেমস ও পান্থ কানাই মাদাকাসক্ত ছিলেন। আর এমনটাই দাবি করেছেন আরেক কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। ভয়াবহ এ তথ্য দিয়েছেন তার বায়োগ্রাফিতে।
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটিতে আসিফ তার সংগীতাঙ্গনের জীবনের নানা গল্পই বলেছেন। গল্প বলার ছলে তিনি বলেন, জেমস এলএসডিতে ও পান্থ কানাই কোকেনে আসক্ত ছিলেন। মূলত, আসিফের এই বায়োগ্রাফি বইটি লিখছেন সোহেল অটল।
আরটিভি নিউজ থেকে এ বিষয়ে লেখক সোহেল অটলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রশ্ন করা হয়। জেমস ও পান্থ কানাই মাদাকাসক্ত ছিলেন এমনটা আসিফ বলেছেন কি না? এর উত্তরে সোহলে অটল বলেন, ‘হ্যাঁ। আসিফ ভাই এ কথা বলেছেন বলেই আমি লিখেছি। তারা মাদকাসক্ত ছিলেন। যেহেতু বইটি আমি লিখেছি আসিফ আকবর এবং সংশ্লিষ্ট সোর্সের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সব লেখা হয়েছে; যার বায়োগ্রাফি লেখা হয় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই লেখা হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু আপনাদের কাছে কীভাবে পৌঁছাল, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।’
আসিফের বায়োগ্রাফিটি শিগগিরই বাজারে আসবে। বর্তমানে প্রি-অর্ডার চলছে। তার মধ্যেই বইটির কয়েকটি পাতা সম্প্রতি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। মূলত, বইয়ের ২০৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের মাদকাসক্তির কথা।
২০৪নং পাতায় লেখা, ‘ভয়াবহ সব ড্রাগে আসক্ত শিল্পীরা। সবাই না। তবে বেশির ভাগই। নাম বললে চাকরি থাকবে না টাইপের সংখ্যা এবং নাম। দেশসেরা রকস্টার জেমসের ড্রাগ নেওয়ার গল্প শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আসিফ। আড্ডায় শুনেছেন, এলএসডি নামের এক ড্রাগে আসক্ত তিনি। পান্থ কানাই কোকেন আসক্ত। আরও অনেকেই। কার নাম রেখে কার নাম বলবেন? নানাবিধ সেসব ড্রাগ। কেউ আইস, ফেনসিডিল, কেউ হিরোইন-প্যাথেডিনে আসক্ত। এ ছাড়া আরও কত নাম- ডিএমটি, বেঞ্জোস, আইস, ক্রিস্টাল প্রভৃতি। এসব ড্রাগের সঙ্গে জড়িয়ে গল্প চলে সংগীতাঙ্গনের নামি-দামি সব শিল্পী-কলাকুশলীর নামে।’
কোকেনে আসক্ত কি না, এ বিষয়ে আরটিভি নিউজ থেকে জানতে চাইলে কণ্ঠশিল্পী পান্থ কানাই বলেন, ‘ভাইরে, কে কী খেয়েছে আর না খেয়ে আছে, এসব নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গানের মানুষ গান নিয়ে থাকতে চাই। আর যে (আসিফ) এই মন্তব্য করেছে, সে আমাদেরই বন্ধু। সেও তো গানের মানুষ তারও গান নিয়েই থাকা উচিত। আপাতত এ নিয়ে আমি আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।’
তবে জেমসের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তার মুখপাত্র রুবাইয়াত ঠাকুর রবিনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ প্রকাশ করছে সাহস পাবলিকেশন্স। প্রায় বিশ ফরমায় প্রকাশ হবে বইটি। এর প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বায়োগ্রাফিটির ইংরেজি সংস্করণ এবং অডিও সংস্করণ প্রকাশ করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানা গেছে সূত্র থেকে।