ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

সন্দেহভাজন আসামীকে খুঁজতে গিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩ আটক ৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২২

সন্দেহভাজন আসামীকে  খুঁজতে গিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩ আটক ৩
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামীকে খুজতে গিয়ে সংঘর্ষে মোসাঃ নাজমা বেগম(২২), মোঃ হিরা বেপারী (৩) ও রাকিব বেপারী (৪) আহত হয়েছে।তাদের উদ্বার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার  নিলখী ইউনিয়নের সরদার মাহমুদেরচর এলাকার  মোঃ জুয়েল বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।রবিবার  দুপুর ২ টার দিকে মোঃ জুয়েল বেপারীর স্ত্রী রেশমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আটকৃতরা হলেন, শিবচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল এলাকার মৃত আদম চোকদারের ছেলে মোঃপান্নু চোকদার (৩৬)
কিনাই আকনের ছেলে আবু তালেব (৩৮) ও মইনুদ্দিন বেপারীর ছেলে মোহাম্মাদ বেপারী (৩৭)

মামলার বিবরন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিবচর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের মৃত আদম চোকদারের ছেলে দাদন চোকদারকে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষ সেলিম শেখের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কুপিয়ে হত্যা করে সেলিম শেখসহ ২০ জনের একটি দল। এসময় কুপিয়ে তার এক পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।এ ঘটনায় পরের দিন (২৪ নভেম্বর) সকালে দাদনের ভাই পান্নু চোকদার বাদী হয়ে নজরুল শেখ, সেলিম শেখসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গতকাল দাদন চোকদারের লোকজন জানতে পারেন, দাদন চোকদার হত্যার সন্দেহভাজন আসামী মোঃদুলাল বেপারী  নিলখী ইউনিয়নের সরদার মাহমুদেরচর এলাকার তার নিকট আত্মীয় মোঃ জুয়েল বেপারীর বাড়িতে অবস্থান করছে।খবর পেয়ে মোঃপান্নু চোকদার, আবু তালেব ও মোহাম্মাদ বেপারীসহ আরো ০৬ জন ০৩টি মোটর সাইকেল নিয়ে তাকে আটক করার জন্য মোঃ জুয়েল বেপারীর বাড়ীতে যান।এসময় তাদের বাড়ী ঘরে দরজা খুলিয়া মোঃ দুলাল বেপারীকে খোজাখুজি করতে থাকে।এসময় বাড়ীতে উপস্হিত লোকজন দুলাল বেপারীকে খোজাখুজির কারন জানতে চাইলে মোঃপান্নু চোকদার, আবু তালেব ও
মোহাম্মাদ বেপারী উত্তেজিত হয়ে জুয়েল বেপারীর বাড়ীতে বেড়াতে আশা তার শ্যালিকা মোসাঃ নাজমা বেগম, মোঃ হিরা বেপারী ও রাকিব বেপারীকে  এলাপাতাড়ী মারপিট করে।এসময় তাদের চিৎকার শুনিয়া আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্বার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এদের মধ্য নাজমা বেগমমের অবস্থা গুরুতর হওয়া তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।  এসময় স্থানীয় লোকজন মোঃপান্নু চোকদার,আবু তালেব ও মোহাম্মাদ বেপারীকে আটক করে।এসময়  তাদের সাথে আশা আরো ৬জন মোটরসাইকেল ০৩ টি নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে সংবাদ পেয়ে নিলখী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  সোয়েব খন্দকার তাদের উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।

মামলার বাদী রেশমা আক্তার বলেন,রাতে ওরা ৯ জন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের আত্মীয়কে খুঁজে। আমরা তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করতে না করতে আমাদের বাড়িতে থাকা চলা(লাকড়ি) দিয়ে আমাদের মারতে থাকে।আমার বোনকে তারা মেরেছে।দুটো বাচ্চাকে মেরেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"

শিবচর থানার উপপরিদর্শক (সেকেন্ড দারগা) রবিউল ইসলাম বলেন,"পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।বর্তমানে তাদের সেখান থেকে থানায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে মোসাঃ নাজমা বেগম নামে একজন নারী শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছে।"