ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪ |

EN

ধাক্কা দিয়ে ব্রিজ ভেঙে ফেলল কার্গো

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২

ধাক্কা দিয়ে ব্রিজ ভেঙে ফেলল কার্গো
পটুয়াখালীর দুমকিতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় লেবুখালী হাইস্কুল সংলগ্ন এলজিইডির আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে দুই পারের বাসিন্দাদের।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বালুবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় লেবুখালী ভাড়ানী খালের ওপর এলজিইডির আয়রন ব্রিজটির অর্ধেকাংশ ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে লেবুখালীর ঐতিহ্যবাহী হাইস্কুলের প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-কর্মচারীসহ দুইপাড়ের বাসিন্দাদের পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, ব্রিজটি আগে থেকেই জরাজীর্ণ ছিল। এলজিইডি কর্তৃক জোড়াতালি দিয়ে জনচলাচল স্বাভাবিক রেখে ছিল। সোমবার একটি মালবাহী (বালুভর্তি) কার্গোর ধাক্কা লেগে ব্রিজের পূর্বাংশ ভেঙে পড়ে এবং কার্গোও আটকে যায়। এতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ দুই পারের বাসিন্দাদের পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান, অদক্ষ কার্গো চালকের অসতর্কতায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী লেবুখালী স্কুলের প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ দুপারের বাসিন্দাদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে পাগলা বেইলি ব্রিজ পাড় হয়ে ভাড়ানী খালের পূর্বপাড় দিয়ে স্কুলে আসতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হলো।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহআলম হাওলাদার জানান, আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পারের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আটকে থাকা কার্গোটির চালক-শ্রমিকরা সটকে পড়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কার্গোটি ভেঙে পড়া ব্রিজের বিম ও অ্যাংগেলের সঙ্গে আটকে রয়েছে। খবর পেয়ে দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এলজিইডি বা উপজেলা প্রশাসনের কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ বলেন, আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মতে প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দের জন্য প্রেরণ করা হবে।