শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সন্ডা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী আব্দুল জলিল সরদার (৫৮)কে মারধর ও প্রাণনাশের অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল জলিল তেলীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শুক্রুবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১২ টার সময় সহকারী শিক্ষককে মারধর করে আহত এবং এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মারামারির অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, রবিন ঢালী (২৮),সোহেল সিকদার(৩০),সিদ্দিক কাজী(৩৭),মাকছুদা বেগম(৪৮),সোনিয়া আক্তার(২৯),সুইটি আক্তার(২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সন্ডা গ্রামের আব্দুল জলিল সরদারের ছেলের বউয়ের সাথে পুকুরের ঘাটলায় যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন নন্দ ছিলো।গত শুক্রুবার(২৮ জানুয়ারী) আব্দুল জলিল ছেলের বউ নিশু আক্তারের সাথে রবিন কথা কাটাকাটি করে, পরে আব্দুল জলিল ঘটনা জিজ্ঞাসা করতে এগিয়ে আসলে তাকে বাঁশ রট দিয়ে আঘাত করে রবিন ঢালী। পরে রবিন সহ অভিযুক্তরা মিলে তার বউ নিশু ও তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে গ্রুতর আহত হয়ে পরে তারা, স্থানীয়দের সাহায্য নড়িয়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহত নিশু আক্তার বলেন,আমাদের সাথে তাদের পূর্বে ঘাটলা নিয়ে বিরোধ ছিলো, পুকুর মাদের সবার আমাদের ঘাটলা ব্যবহার করতে দেয় না।আমাদের ঘাটলা যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার বাবাকে রবিন রট দিয়ে পিটিয়ে মারধর করে আমি বাধা দুলে আমাকেও চুল ধরে কিল ঘুশি ও লাঠি দিয়ে পিটায়। আমারা এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।আমার বাবা একজন বৃদ্ধ এবং শিক্ষক আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার সঠিক বিচার চাই।
আহত সহকারী শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন,আমার শরীর খুব খারাপ মি কথা বলতে পারছিনা। আমাকে রবিন এসে রট দিয়ে বারি দিলো তারপরে আমি অচেতন হয়ে যাই। তারপর দেখি আমি হাসপাতালে ভর্তি। আমি তেলীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। আমি এই অমানবিক হামলার বিচার চাই।
এ বিষয় প্রতিবেশী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে ছুঁটে আসি, পরে দেখি রবিন ঢালী সহ বিবাদি পক্ষ তাদের উপর চরা হয়ে হামলা করছেন। একটি পুকুরের ঘাটলা নিয়ে দন্দ।পরেই এ নিয়েই তাদের উপর জুলুম ও হামলা চালায়। আমরা এলাকার লোকজন আসলে তারা সরে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ।
অভিযুক্তদের মধ্যে রবিন ঢালীর সহ অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে পাওয়া গেলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয় নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা)(ওসি) অবনি সংকর কর জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এবং মামলা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।