দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্মরত খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি’র এক্সএমসির ৩৬জন চিনা কর্মকর্তা ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিঃ (বিসিএমসিএল) এর এমডিসহ ৩১জন বাংলাদেশী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত ও অর্ধশত কর্মকর্তা করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে, খনিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে গত শুক্রবার সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় খনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানী সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলছেন তাপ বিদ্যুাতের অভ্যান্তরে দুই লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। এই কয়লা শেষ হওয়ার পূর্বে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান করোনায় আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন খনিতে ২৯৩জন চিনা নাগরিকের মধ্যে ১৮৪জনের করোনা পরিক্ষা করে ৩৬জনের শরিরে করোনার ভাইরাস পাওয়া গেছে, একই ভাবে বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিঃ (বিসিএমসিএল) এর ৭২জন কর্মকর্তার করোনা পরিক্ষা করে তিনি (এমডি)সহ ৩১জনের শরিরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে, এছাড়া করোনার উপসর্গ রয়েছে খনির অর্ধশত কর্মকর্তার শরিরে, এই কারনে সাময়িক ভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশরী ওয়াজেদ আলী বলেন, এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একমাত্র জ্বালানীর উৎস্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। তিনি বলেন আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হলে জ্বালানী সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির।