ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪ |

EN

শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের শাবলের পিটানে নিহত ১

শরীয়তপুর প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২২

শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের শাবলের পিটানে নিহত ১
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবককে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এ ব্যাপারে নিহতের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ইভা আক্তার বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলা করেছে।পরে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিন্টু মাঝি (৩৮) হাওলাদার কান্দি গ্রামের আমান উল্লাহ মাঝির ছেলে। আহতরা হলেন মোল্লাকান্দি গ্রামের তাসলিমা বেগম (৪৮) ও রশিদ মাঝি (৩৫)। আহতরা ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সুমন হাওলাদারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু মাঝির ৫৮ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ সুমন হাওলাদারদের সঙ্গে ঝামেলা চলছে। সম্প্রতি সেই জমিতে বেড়া দেয় মিন্টু। আজ সকালে সেই বেড়া ভাঙতে যায় সুমন হাওলাদার (৩৭), আরিফ হাওলাদার (৪২)সহ ৮/১০ জন। পরে মিন্টু ও তাঁর পরিবার বাঁধা দিলে মিন্টুকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে সুমনরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে। 

নিহতের বোন আহত তাসলিমা জানান,ডিএমখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বেপারীর ড্রাইভার পাশ্ববর্তী সরদার কান্দি গ্রামের সুমন হাওলাদারের নেতৃত্বে আরিফ হাওলাদার,আবুল কালাম,আঃ কাদেরসহ ৭/৮ জন আমাদের জমিতে বেড়া  ভাংতে আসলে আমার বাধা দেই। এতে  তারা আমাদের উপর শাবল দিয়ে হামলা চালায় এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হয়।  উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। 

আমরা ভাইকে বাচাতে গেলে হামলাকারীরা  আমাদের উপর ও হামলা চালাল এতে আমার হাত ভেঙ্গে গেছে। এতে আমার বড়ভাই আঃ রশিদ মাঝিআহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিএমখালি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন হক আৰু বেপারী বলেন, অভিযুক্ত সুমন আমার গাড়ীর চালক নয়। এখানে কে আমার প্রভাব খাটিয়ে সেই বিষয়ে আমি সাত নই। আমি সর্বদা ন্যায় ও সত্যের পক্ষে আছি। 

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিন্টুকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এঘটনায় দেলোয়ার হাওলাদার (৫০), আবুল কালাম (৪৫) ও সুমনের মাকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মিন্টুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।