ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪ |

EN

শীতার্তদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান মানবাধিকার কর্মী তারেক সালমানের

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৬, ২০২২

শীতার্তদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান মানবাধিকার কর্মী তারেক সালমানের
এই শীতে মানবিক কারণে সামর্থবান - স্বচ্ছল মানুষদেরকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী তারেক সালমান। 

তিনি বলেন,"মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য" আল্লাহর ইচ্ছায় প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই ঋতুর পালা বদল ঘটে। প্রকৃতির আচরণ মানুষের অসহায়ত্বকে আরও প্রকট করে তোলে। হিমেল হাওয়া ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত অঞ্চলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার জন্য হতদরিদ্র অনেক মানুষেরই নেই ন্যূনতম শীতবস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, ওষুধপথ্য, উপযুক্ত আশ্রয় বা বাসস্থান। হাড়কাঁপানো শীতে তাদের কাউকে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করতে হয়। ছিন্নমূল অসহায় মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত মোকাবিলার প্রয়াস চালাতে দেখা যায়। শীতার্ত মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। নিঃস্বার্থভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করাই মানবধর্ম। এ মহৎ ও পুণ্যময় কাজই সর্বোত্তম ইবাদত। অসহায় মানুষের দুর্দিনে সাহায্য, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মনমানসিকতা যাদের নেই, তাদের ইবাদত-বন্দেগী আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। সুতরাং নামাজ রোজার সঙ্গে কল্যাণের তথা মানবিকতা ও নৈতিকতার গুণাবলি অর্জন করাও জরুরী । সামনে আসছে শীত কষ্ট ও দুঃসহ অবস্থায় পড়ে অসহায় জীবন যাপন করছে দেশের লাখ লাখ দুস্থ, নিঃস্ব, ছিন্নমূল, গরিব, দুঃখী, বস্ত্রহীন শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ। শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন সুচিকিৎসা, ঔষুধপথ্য এবং শীত নিবারনে বস্ত্র, প্রবল শৈত্যপ্রবাহে শিশুরা গণহারে গুরুতর শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে শীতের দুর্ভোগে মৃত্যুর হারও বাড়বে। এ জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ দলমত-নির্বিশেষে বিত্তবানদের শীতার্ত বস্ত্রহীন মানুষের পাশে অবশ্যই দাঁড়ানো উচিত। তীব্র শীত নিবারণে দুর্গত অঞ্চলে শীতবস্ত্র বা গরম কাপড়, ঔষুধপত্র সরবরাহ অত্যন্ত জরুরী । দুর্যোগময় মুহূর্তে মন-প্রাণ খুলে আর্তমানবতার সেবায় সাহায্যের হাত বাড়ানো; খাদ্য, ঔষুধ, পথ্য, শীতবস্ত্র এবং জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে যাওয়া এবং দুস্থ মানবতার সেবার মতো শ্রেষ্ঠ কর্মে অগ্রসর হওয়া অবশ্যকরণীয়। উত্তরবঙ্গ সহ অন্যান্য জেলায় প্রচুর শীতের প্রভাব পড়েছে। শীতের প্রভাব এখন রাজধানীতে ও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তায়, রেল স্টেশন, স্টেডিয়ামের পাশে শুয়ে আছে অসহায় ছিন্নমূল, শীতার্ত মানুষ। এই শীতার্তদের পাশে অবশ্যই সমাজের বিত্তবান, ধনাঢ্য, শিল্পপতিদের এগিয়ে আসা উচিত। শৈত্যপ্রবাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আল্লাহ তাআলা ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানের দৃঢ়তা পরীক্ষা করেন, আর দেখেন বিপদগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য কারা সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। 

সুতরাং প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষেরই পারস্পরিক মানবতাবোধ ও উদারনৈতিক মনমানসিকতা থাকা অপরিহার্য। একজন মানুষ বিপদে পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অসহায় হলে তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করা সমাজের বিত্তবান প্রতিবেশীদের ইমানি দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য। সব মানুষের উচিত সমগ্র সৃষ্টির প্রতি দয়ামায়া, অকৃত্রিম ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সহানুভূতি বজায় রাখা। তাই, দেশের সর্বস্তরের ধনাঢ্য, বিত্তবান, শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান আমাদের।

এ শীতের মৌসুমে গরিব, অসহায়, দুঃখী মানুষকে সামর্থ্য অনুযায়ী শীতবস্ত্র দিয়ে সাহায্য করুন।