ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

নিরাপত্তা চেয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১

নিরাপত্তা চেয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ ওঠে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার ফরহাদ তার দলবল নিয়ে মনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার নির্বাচন সমন্বয়কারী একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ, নির্বাচনী কর্মী আনোয়ার হোসেন, এরশাদ আলীসহ নির্বাচনকালীন তার কর্মী-সমর্থকরা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ২৭ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বম্বু ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পার্শ্ববর্তী পালপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ও বম্বু ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ফরহাদ।

তিনি বলেন, “নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে ফরহাদ আমাকে ও আমার কর্মীদের ভয়ভীতিসহ হুমকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমি কড়ই মাদরাসা বাজারে চায়ের দোকানে গেলে ফরহাদ, তার ভাই আব্দুল আলিম ও খোরশেদ, কড়ই মধ্যপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে, ওবাইদুর ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে মুমিন মুন্নি, তাজুল ইসলামের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাজমুল ও এনামুলসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয় জনগণ ও কর্মীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আমাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।”

তিনি আরও জানান, চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে কিছুটা সুস্থবোধ করলেও ফরহাদ ও তার দলবল আবারও হামলার হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ফরহাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। হাসপাতালে থাকায় মামলা করতে পারেনি, তবে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান নবনির্বাচিত এই ইউপি সদস্য।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরাজিত প্রার্থী ফরহাদ ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্বাচনের পর দিন ঘটনাস্থলে এসে কর্মীদের নিয়ে চা পান করছিলাম। এ সময় সেখানে বিজয়ী মনোয়ার আমাদের চায়ের বিল দিতে চান, এতে আমার কর্মীরা অপমান বোধ করছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিরও ঘটনা ঘটে।