ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

অভিযান ১০ ট্রাজেডি: সুগন্ধা নদীতে ভেসে উঠেছে মরদেহ

আজমীর হোসেন তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১

অভিযান ১০ ট্রাজেডি: সুগন্ধা নদীতে ভেসে উঠেছে মরদেহ
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক ভেসে উঠছে মরদেহ। আজ সকালেও এক যুবকের মৃতদেহ সুগন্ধা নদীতেই ভেসে উঠে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২। 

এদিকে সোমবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় স্বজন হারানো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় লঞ্চ মালিক হাম জালাল শেখ সহ ৮জন নামধারী ও অজ্ঞাত ২০জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে তদন্ত কমিটি আজও তদন্ত অব্যহত রেখেছে।

বৃহস্পতিবার লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পযন্ত নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় অর্ধশত। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডুবুরিদল।
 
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে আরো একজনের মরদেহ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরিদল মরদেহটি উদ্ধার করে। তারা জানায়, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমন্ডলে আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। 
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত)সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, সোমবার উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই ব্যক্তি অভিযান লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি ছিলেন। তার নাম শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা ছিলেন। তার মামা লুৎফর রহমান লাশ শনাক্ত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। অপরদিকে মনির হোসেন নামে নিখোঁজদের এক স্বজন বাদী হয়ে নৌযান আইনে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

এদিকে আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌরমিনি পার্ক ডিএনএ টেস্টের জন্য এলাকায় স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুগন্ধা পাড়সহ ঝালকাঠিতে অবস্থান নিয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা এখন মরদেহ খুঁজে ফিরছেন।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন অনেক যাত্রী।