ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

বৃষ্টির দিনে যেসব জুতা আরামদায়ক

লাইফস্টাইল ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ২৯, ২০২৪

বৃষ্টির দিনে যেসব জুতা আরামদায়ক
আবহমান বাংলায় এখন ভরা বর্ষা। আর বর্ষাকাল মানে যখন-তখন বৃষ্টি। এই ধরেন আপনি আকাশ পরিষ্কার দেখে বাইরে বের হয়েছেন, অমনি ঝুম বৃষ্টি। তবে এ সময়ে পায়ে যদি থাকে সুন্দর ফ্যাশনেবল এক জোড়া জুতা, তাহলে কেমন হবে! ভাবতেই কেমন এটা অনুভূতি হচ্ছে তাই না? এ সময় তাই চামড়ার জুতা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ র্যাক্সিন অথবা চামড়ার জুতা ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর এতে পায়ের ত্বকেরও ক্ষতি হয়। বৃষ্টির দিনে তাই প্লাস্টিক বা পানিনিরোধক স্যান্ডেল বা জুতা বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চলুন জেনে নিই বর্ষার দিনে যেসব জুতায় মিলবে আরাম। 

১. বর্ষার দিনে স্লাইডার জুতা বেশ মানানসই। ভিজে গেলেও খুব একটা ক্ষতি হয় না। আবার জিনস, টপ বা অন্যান্য পোশাকের সঙ্গেও বেশ মানিয়ে যায়। 

২. বৃষ্টির দিনের জন্য আদর্শ হচ্ছে ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল। ওয়াই আকৃতির স্ট্র্যাপসহ স্যান্ডেলই হচ্ছে ফ্লিপ ফ্লপ। এগুলো ঝটপট পরে বের হয়ে যাওয়া যায়। কাদা পানি লাগলেও সহজে পরিষ্কার করা যায়।

৩. পা ঢাকা ক্রক্স জুতা রাখতে পারেন জুতার আলমারিতে। ক্রক্স জুতার নকশায় ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, ফলে পা ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলে ছত্রাক সংক্রমণের ভয় থাকে না। 

৪. বর্ষার জুতা হিসেবে রাবার বা প্লাস্টিকের স্যান্ডেল বেছে নিতে পারেন। প্লাস্টিকের ব্যালেরিনা সু হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এগুলো সহজে পিছলে যায় না, আবার ধুয়ে ফাইল শুকিয়ে যায় দ্রুত।

৫. স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলে স্নিকার্স পরতে পারেন। এ ধরনের জুতা বেশ আরামদায়ক, পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি কম। তবে ভিজে গেলে শুকাতে সময় বেশি নেয় স্নিকার্স।  

৬. বর্ষার জুতা হিসেবে রাবার বা প্লাস্টিকের স্যান্ডেল বেছে নিতে পারেন। প্লাস্টিকের ব্যালেরিনা সু হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এগুলো সহজে পিছলে যায় না, আবার ধুলে শুকিয়ে যায় দ্রুত।

৭. কাপড়ের জুতাও বর্ষার জন্য ভালো। কাদাপানি লেগে গেলেও শুকাতে খুব একটা সময় নেয় না। তবে কাদা লেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘষবেন না এই ধরনের জুতা। এতে দাগ বসে যাবে। শুকিয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে উঠিয়ে এরপর ধুয়ে নিন। 

এড়িয়ে চলবেন যেসব জুতা
বর্ষার সময় পেন্সিল হিল, বড় হিল, স্যান্ডেল, চপ্পল— এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ আমাদের শহরে পানি জমে একাকার হয়ে যায় রাস্তাগুলোতে। কখনো হাঁটুপানি তো কখনো কোমরপানি। পানির জন্য রাস্তাঘাট ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়, গর্তের সৃষ্টি হয়। তাই পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে!