ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ |

EN

এবার নিপুণকাণ্ডে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান পরিচালক ঝন্টু

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, মে ২২, ২০২৪

এবার নিপুণকাণ্ডে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান পরিচালক ঝন্টু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ফের উত্তেজনা চলছে। বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও ২৫ দিনর পর নিপুণের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিপজলের পদে বসা স্থগিত হয়েছে হাইকোর্টে।

নিপুণের এমন কর্মকাণ্ড মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদেরই একজন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।

ঝন্টু বলেন, শিল্পী সমিতিতে ডিপজল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলে সুন্দরভাবে দুটি বছর চলবে। কারণ, ওর কাজ ছাড়া অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। ওর সম্মান ও অর্থ সম্পদ সব কিছুই আছে। সে এখানে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উন্নয়নের কথাই ভাববে। সে পাশ করেছে, নিপুণ গিয়ে কেস করেছে। সে এটা না করলেও পারত।

ঢাকাই সিনেমার এই পরিচালক বলেন, আমরা লোকমুখে যতদূর জানি ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করেনি। শুনেছি এই বিষয়ে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না তদন্তে কিছু পাবে। তবে ডিপজল যেন এখানে না থাকতে পারে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক কিনা আমি জানি না। সবকিছু মেনে নিয়ে রিট করার মানে হয় না। নিপুণ মালা পরিয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়েছিল। এটা তো দেখে ভালো লেগেছে। এখন ওর বিপক্ষে সমালোচনাই বেশি হবে। এই জিনিসটা আমার দৃষ্টিতে শুভ না।

ডিপজল সারা দেশে একটা পরিচিত নাম উল্লেখ করে ঝন্টু বলেন, ডিপজল চলচ্চিত্রের একটি পরিচিত নাম। ডিপজলের বিরুদ্ধে যে কথাটা বলেছে সেটা তার (নিপুণ) বলা অপরাধ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি শব্দটা উচ্চারণ করলাম না। ডিপজলের সম্মানহানি করার তার (নিপুণের) কোনো অধিকার নেই। আমি নিপুণকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। তাকে আমি শিল্পী হিসেবে পছন্দ করি। আর ডিপজলকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি। যদিও ডিপজল আমার জুনিয়র।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ অধিকাংশ পদেই জয়লাভ করে মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজল পরিষদ। সবার আগে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলের মালা গলায় দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। কিন্তু এর ২৫ দিন পরই হাইকোর্টে রিট করেন এই চিত্রনায়িকা।

আদালতে রিট করা প্রসঙ্গে নিপুণ জানান, ভোটের রাতের অনিয়মের অনেক প্রমাণই রয়েছে তার কাছে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বাতিল হওয়া ভোটের সংখ্যা সঠিকটি দেননি। আমার জানামতে ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ভোট বাতিল দেখিয়েছে ৪১টি। আর এ ব্যাপারে আমার প্যানেলকে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট কিছুই জানায়নি।