ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

কৃষিতে সোলার সেচ চালুর চেষ্টা করছে সরকার: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

কৃষি ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, মার্চ ৩০, ২০২৪

কৃষিতে সোলার সেচ চালুর চেষ্টা করছে সরকার: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট সরকারের। ভবিষ্যতে সেটিকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে নেয়ার রোডম্যাপ করেছে সরকার। কৃষিতে ডিজেল সেচপাম্পের সংখ্যা কমিয়ে সোলার সেচ চালুর চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে জমির স্বল্পতা ও বিনিয়োগকে বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন বিশ্লেষকরা। 

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার দোহাই দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ফসিলের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে চাপ দিচ্ছে উন্নত বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় কয়লার ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সরকারের। জ্বালানি রূপান্তরের আওতায় ডিজেল সেচ পাম্পের পরিবর্তে কৃষিতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে সৌর বিদ্যুতকে।

বিদ্যুৎ খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে পরিকল্পনা বিশ্লেষণে দেখা যায়- স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে চলমান ৫১ টি প্রকল্প থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৭৪৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরকারি খাতে থাকবে ৬৪৭ মেগাওয়াট। আর বেসরকারি খাতে সৌর, বায়ু ও বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৩১০১ মেগাওয়াট। যদিও বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র তিন শতাংশ।

সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় গুরত্ব দেয়া হয়েছে পাশের দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ আমদানিতে। প্রক্রিয়াধীন  ৭৪ টি প্রকল্পে সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮২৯৯ মেগাওয়াট। এর  সিংহভাগই থাকবে বেসরকারি খাতে ৬৪৯৩ মেগাওয়াট। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিনিয়োগ, গ্রিড লাইনের আধুনিকায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে দশ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না হলেও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার পথেই হাঁটতে চায় সরকার।