কোট কাছারি, বিচারক, আইনজীবী, হাজিরা, মামলা, বাদী আর বিবাদী এই শব্দগুলো এখন নিত্যদিনের সঙ্গী ঢালিউড সুপারস্টার পরীমণির।
যদিও এসব নিয়ে খুব বেশি বিচলিত না ডানাকাটা পরী। বরং নিজের সিনেমার কাজেই ধ্যান মগ্ন হয়ে থাকতে পছন্দ করেন তিনি।
বিচার কার্যের আনুষ্ঠানিকতার কারণেই তাকে হাজির হতে হয় আদালত পারায়। এ যেন পরীর জীবনের এক নয়া অভিজ্ঞতা।
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলচ্চিত্র পরীর দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানিতে ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় হাজির হন তিনি। এদিন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ তাকে যেতে হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন এবং শহিদুলকে অভিযোগপত্রে ‘পলাতক’ দেখানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চার জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমনি।
অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণিসহ অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়েছে। পরবর্তী চার্জ গঠনের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।