ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৪ |

EN

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চেয়ে নিক্সন চৌধুরীকে তলব

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চেয়ে নিক্সন চৌধুরীকে তলব
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ফরিদপুর ৪-এর চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া উপলক্ষে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা করার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এ সময় ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

এতে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৮(ক) ৩৮ (খ)-এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২-এর বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই আদেশে।

এ বিষয়ে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে শুক্রবার বিকেল ৩টায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে সংসদীয় আসন নম্বর ২১৪ ফরিদপুর ৪-এ প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র দাখিল করেন মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। কয়েকশো মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তিনি একটি ছাদখোলা গাড়িতে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রথমে জেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছান। এরপর সমর্থকদের নিয়ে পায়ে হেঁটে ব্যান্ড পার্টির বাদ্যের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যান।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহমান তালুকদার জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কক্ষে নিক্সন চৌধুরীসহ পাঁচজনের বেশি ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।