ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

ঝালকাঠি কলেজছাত্রকে তুলেনিয়ে হাতুড়ি দিয়ে নির্মম নির্যাতন

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, নভেম্বর ২৬, ২০২১

ঝালকাঠি কলেজছাত্রকে তুলেনিয়ে হাতুড়ি দিয়ে নির্মম নির্যাতন

ঝালকাঠির রাজাপুরে সিফাতুল ইসলাম তামিম (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে অপু মৃধা (৩০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে। নির্যাতনে আহত তামিম উপজেলা সদরের বাঘরী এলাকার মো. খলিলুর রহমানের ছেলে বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের প্রথমবর্ষের ছাত্র। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় থানার পশ্চিম পাশের খেলার মাঠ থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে উপজেলার সত্যনগর এলাকার একটি স্কুলের ভেতরে আটকে হাতুড়ি লোহার রড দিয়ে টানা দুই ঘন্টা নির্যাতন করা হয় তামিমকে। নির্যাতনকারী অপু মৃধা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সত্যনগর এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) মো. ইদ্রিস মৃধার ছেলে।

 

আহত তামিম জানায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকায় দুই দল এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘর্ষে জড়ানোর পরিকল্পনা করে  ছিল। সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে তামিম দুই পক্ষকে ঝামেলায় না জড়ানোর পরামর্শ দেন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন। পরে তুই পক্ষই ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এই দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ নির্যাতনকারী অপু মৃধার সহযোগী। এই ঘটনার জেরে গতকাল বিকালে অপু তার দুই সহযোগী দুইটি মোরটসাইকেলে করে এসে খেলার মাঠ থেকে তামিমকে তুলে নিয়ে সত্যনগর এলাকায় যায়। সেখানে একটি বিদ্যালয়ের কক্ষে আটকে টানা দুইঘন্টা হাতুড়ি লোহার রড দিয়ে তামিমকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে গুরুতর  আহতাবস্থায় স্বজনরা তামিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।

 

জানা যায়, অপু মৃধা এর আগেও একাধিকবার এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান রুবেল হত্যাচেষ্টা, সত্যনগর এলাকার অপর এক যুবককে হত্যাচেষ্টা, পুলিশের কাছথেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদকের মামলাসহ রাজাপুর ঝালকাঠি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

 

গতকাল রাতে তামিমের বাবা মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ বলেছে, তদন্ত করে দেখে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

 

বিষয়ে অভিযুক্ত অপু মৃধার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘আহত যুবকের বাবা রাতে থানায় এসেছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি মামলা নেওয়ার মত হয়, তাহলে মামলা হবে। তা না হলে সাধারণ ডায়েরী করা হবে।’