ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্ভোধন ১২ নভেম্বর:২ নভেম্বর ট্রায়াল

কক্সবাজার প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৩

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্ভোধন ১২ নভেম্বর:২ নভেম্বর ট্রায়াল
সব জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে কক্সবাজারবাসীর। আগামী ১২ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রা করবে ট্রেন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন স্থাপিত রেললাইন এখন ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ রেললাইন প্রকল্পের।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি দেখতে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পরিদর্শন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প। আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর আগে কালুরঘাট সেতুর কাজ শেষ হলেই ০২ নভেম্বর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। এমাসের মধ্যে শেষ হবে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ।



মন্ত্রী বলেন, রেললাইন প্রকল্পের ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৯ টি স্টেশনের মধ্যে ৪ টি স্টেশন বাদ দিয়ে সব স্টেশনের কাজ শেষের পথে। এখন ফিনিশিং ও পরিপাটি করার কাজ চলছে। কিছু লাইটিং এর কাজও বাকি আছে। আশা করছি উদ্বোধনের পরে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে কয়েক জোড়া ট্রেন চলবে।

এর আগে সোমবার সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।