নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ২০, ২০২১
কক্সবাজারের
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির নবনির্বাচিত
চেয়ারম্যান খোদেসতা বেগম রীনা। সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী
আট পুরুষ প্রার্থীকে পেছনে ফেলে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। এর আগে ওই ইউনিয়নে
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে কোনো নারী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বা জয়ের রেকর্ড
নেই
খোদেসতা
বেগম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বলে
নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
গৌর চন্দ্র দে।
এ
ইউনিয়নের ১৬ হাজার ১২৮ জন ভোটারের মধ্যে ১৩ হাজার ২৯২ জন ভোট দেন। এর মধ্যে ২৯০টি ভোট
বাতিল হয়। নৌকা প্রতীক নিয়ে খোদেসতা বেগম রীনা ৫ হাজার ৯১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ফ্যান প্রতীকে মো. ইউনুছ পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৫ ভোট। এছাড়া
ঘোড়া প্রতীকে সাইফুল আলম ৩ হাজার ৭১, হাতপাখা প্রতীকে মুহাম্মদ শফিউল্লাহ ২৫০, টেলিফোন
প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ২১৭ ভোট, আনারস প্রতীকে ইয়াসিন মনির সোহাদ ৪২ ভোট, মোটরসাইকেল
প্রতীকে ওমর ফারুক ৩০, অটোরিকশা প্রতীকে সাদ আল আলম চৌধুরী ২৮ এবং চশমা প্রতীক নিয়ে
এয়াকুব ১৪ ভোট পেয়েছেন।
পরাজিত
প্রার্থীদের মাঝে মুহাম্মদ ইউনুস বর্তমান ও সাইফুল আলম সাবেক চেয়ারম্যান।
কক্সবাজার
পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও নারী কাউন্সিলর শাহিনা আকতার পাখি বলেন, কক্সবাজারেও নারীরা
স্বতন্ত্র নেতৃত্বে এগোচ্ছেন। খোদেসতা বেগম রীনা তারই উদাহরণ।
কক্সবাজারের
নারী এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ বলেন, খোদেসতা বেগম রীনা
কক্সবাজারের জন্য ইতিহাস। এর আগে সরাসরি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে ভোটে কোনো নারী প্রার্থী
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কিংবা জয়ের ইতিহাস নেই।
ইউপি
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী খোদেসতা বেগম রীনা বলেন, একজন নারী হয়েও আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী
পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে লড়েছি। তাদের পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছি। এটি আমার জীবনের বড় অভিজ্ঞতা
হয়ে থাকবে।
খোদেসতা
বেগম রীনা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
তিনি একাধিবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুল আলম চৌধুরীর সহধর্মিণী। তিনি বর্তমান ভূমিমন্ত্রী
সাইফুজ্জামান জাবেদের ফুফাতো বোন।