ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

আধিপত্য নিয়ে ৭ গ্রামের মানুষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

আব্দুল আওয়াল (মদন) নেত্রকোনা | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

আধিপত্য নিয়ে ৭ গ্রামের মানুষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত
নেত্রকোনার মদনে সাত গ্রামের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে নায়েকপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের পাশের কৃষিজমিতে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহত রফিক, গণি মিয়া ও সিয়ামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত আছিরুল, নয়ন, রমজান, মনিরকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পারভেজ, ইনছান, নিজাম উদ্দিন, হারুন, মাছুম আলী, ইরান উদ্দিন ও সেলিমকে পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৫-৩০ জন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল ও মারামারি নিয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। নোয়াগাঁও, পাছআলমশ্রী, বাউশা, তালুককানাই (এক গ্রুপ) গ্রামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পাশের গ্রাম আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার (অপর গ্রুপ) বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় বারবার উত্তেজনা দেখা দেয়।

ইতোপূর্বে দুপক্ষের মাঝে কয়েকটি মারধরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুপক্ষের বিভেদ নিষ্পত্তি করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পূর্বের ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার সকালে দুপক্ষের হাজার হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। 

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বারবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। মঙ্গলবার সকালে দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, নায়েকপুর ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতারা ও পুলিশ প্রশাসন নিয়ে কয়েকবার চেষ্টা করি। একপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।