নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ২০, ২০২১
চাঁদপুরের
ফরিদগঞ্জের জেলে অনাথ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জেলহাজতে থাকা ছেলে শ্রীকৃষ্ণ
দাস প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের সৎকার করলেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি নিয়ে
বৃহস্পতিবার রাতে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুনরায় জেলে ফিরে যান তিনি।
শ্রীকৃষ্ণ
দাসের মা বিমলা সুন্দরী (৮০) বৃহস্পতিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
জানা
গেছে, জেলে অনাথ দাস হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গত চার মাস ধরে জেলে রয়েছেন
ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও দাসপাড়া যুবসংঘের সহসভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাস।
তার মা বিমলা সুন্দরী বৃহস্পতিবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। পরে মৃত
মায়ের সৎকারের জন্য চাঁদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিসের কাছে আবেদন করে
তার পরিবার। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশেষভাবে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি দেন শ্রীকৃষ্ণ
দাসকে।
পরে
তাকে নিয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার দাসপাড়ায়
এসে পৌঁছে। এর পরে পৌর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুনরায় জেলে ফিরিয়ে
নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
উল্লেখ্য,
চলতি বছরের ১৯ জুলাই উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের জেলে অনাথ
দাস বাড়ি থেকে বের হওয়ার ৭ দিন পর কড়ৈতলী গ্রামের একটি খাল থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
পরে ওই ঘটনায় নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে গত ২৫ জুলাই একটি মামলা করেন।
এতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই রাতেই সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের
দপ্তর সম্পাদক ও দাসপাড়া যুবসংঘের সহসভাপতি শ্রীকৃষ্ণ দাসকে আটক করে।
এর
পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুবল দাসসহ চার
জন আটক হয়। সুবল দাস ও সোহাগ নামে দুই জন স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন। যদিও স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দিতে কোথাও শ্রীকৃষ্ণ দাসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।