ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

মদনে এ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ

আব্দুল আওয়াল (মদন) নেত্রকোনা | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

মদনে এ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ
নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল হোসেন মোহাম্মদ শহিদুলের (খোকন) অবহেলায় রোগী মারা যাওয়ায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া রোগী শান্তু মিয়ার ভাতিজা কায়েস মিয়া সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই দিন সকালে শান্তু মিয়া (৫০) মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মদন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের শান্তু মিয়া বুকের ব্যথা নিয়ে সোমবার সকালে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। শান্তু মিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তায়েফ। তখন রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক খোকন মিয়াকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতে চালক অপারগতা প্রকাশ করলে কিছুক্ষণ পর রোগী শান্তু মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় মৃত শান্তু মিয়ার ভাতিজা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মৃত শান্তু মিয়ার মেয়ে শাহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা বলায় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালককে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি যেতে রাজি হয়নি। তাই আমার বাবা হাসপাতালেই মারা যায়। আমি এ্যাম্বুলেন্স চালকের বিচার চাই।’

এ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল হোসেন মোহাম্মদ শহিদুল (খোকন) বলেন, 'রোগীর লোকজন আমাকে ফোন দিয়েছিল ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য। এক সপ্তাহ যাবত আমি খুবই অসুস্থ। গাড়ি চালানোর মতো অবস্থা আমার নেই। এ বিষয়টা আমি তাদের বলেছি। কিন্তু ২০ মিনিটের মধ্যেই রোগী মারা গেছে। হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।’
 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান বলেন, 'এ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলায় রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চালক অসুস্থ থাকলেও হাসপাতাল থেকে ছুটি নেয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, 'এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ওসি সাহেবকে বলা হয়েছে।’