ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

বেদে নারীকে হত্যা করে লাশ নদীতে নিক্ষেপ, শিশুসন্তান নিখোঁজ

আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ৯, ২০২১

বেদে নারীকে হত্যা করে লাশ নদীতে নিক্ষেপ, শিশুসন্তান নিখোঁজ

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় এক বেদে নারীকে হত্যার করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে তাদের সাড়ে তিন বছরের শিশুসন্তান।

 

গত নভেম্বর ওই বেধে নারী তার শিশুসন্তানসহ নিখোঁজ হয়। রবিবার রাতে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত পাখী বেগম (২৫) মুলাদীর রামচর গ্রামের ফজলু সরদারের মেয়ে।

 

এই ঘটনায় স্বামী আবুল বাশারকে আটক করেছে পুলিশ। বাশার ভোলা জেলার বাসিন্দা আনসার আলীর ছেলে।

 

মুলাদী থানার ইনচার্জ এসএম মাকসুদুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি জানান, রবিবার রাতে উপজেলার জয়ন্তী নদীর নাতিরহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে পাখীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শের--বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

ওসি জানান, গত নভেম্বর তার স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে থানায় জিডি করেন আবুল বাশার। ওই সময় বেদে সম্প্রদায়ের নৌকা ছিল জয়ন্তী নদীর রামচর গ্রামে। ঘটনা তদন্তে গেলে বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।

 

স্বীকারোক্তিতে ঘাতক পুলিশকে জানায়, শ্বাসরোধে হত্যার পর পাখীকে নৌকা থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পাখীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

ওসি আরও জানান, পাখীর সাথে তাদের সাড়ে তিন বছরের শিশুসন্তান তুহিনও নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তুহিনকেও হত্যা করা হয়েছে। তুহিনের সন্ধান চলছে। তবে তুহিনের বিষয়ে বাশার এখনও কিছু জানাননি। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

 

বেদে সম্প্রদায়ের বরাত দিয়ে ওসি জানান, স্ত্রী পাখীকে নৌকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল স্বামী আবুল বাশার। কিন্তু পাখী রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়।