আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশে ছাত্রলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। এটিকে 'ট্রেইলার' আখ্যা দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, 'আজকে এখানে যে জমায়েত এটা ট্রেইলার। আগামী দিনে আরও বড় জমায়েত হবে। পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত। আজকের ছাত্রসমাজ আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে।’
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত 'বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ' শীর্ষক শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘রাজপথের হুংকার অনেকেই দিচ্ছেন। রাজপথে পরাজয়ের কথা তারা ভুলে গেছে। সে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) লুটপাতের যুবরাজ হতে পারে, রাজপথের রাজা ছাত্রলীগ।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছাত্রসমাজ তার (তারেক) কালো হাত গুঁড়ো করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, 'পল্টন কখনো জিততে পারে না, বায়তুল মোকাররমই জিতবে। গণতন্ত্রবিরোধী যে অপশক্তি, আগামী দিনে যারা অনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে হাত মেলানোর চিন্তা করছেন তাদের সেই ষড়যন্ত্রের কালো হাত আমরা ভেঙে দেব।’
‘প্রয়োজনে সারা বিশ্ব থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়ে আসুন’
এদিকে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপিকে প্রয়োজনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা বিশ্ব থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চাইলে বিএনপি ১০ মিনিট রাজপথে টিকে থাকতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। সকলের মিছিল মিটিং করার অধিকার রিয়েছে। কিন্তু কেউ যদি মিছিল-মিটিংয়ের নামে অশান্তি-অরাজকতা তৈরি করে, তাদের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসবক লীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিরোধ করবে, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।