জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৪, ২০২১
কুমিল্লায়
পূজামণ্ডপে কোরান রেখে সহিংসতায় ইন্ধনের
ঘটনা উসকে দেয়ার অভিযোগে
নতুন মামলা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয়
একটি নিউজ পোর্টাল পরিচালনাকারী
দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা
হলেন, সাজ্জাদ হোসেন শিমুল ও তার ভাই
ফয়সাল মবিন পলাশ।
সোমবার
(১ নভেম্বর) কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নতুন
করে এ মামলাটি দায়ের
করেন সিআইডির পরিদর্শক আতিকুর রহমান
পূজামণ্ডপে
কোরান রেখে ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাতের মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন পাগল নয় এবং
সে ভবঘুরেও নয়, বলে জানিয়েছেন
সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহম্মদ রেজওয়ান।
তিনি
আরও জানান, ঘটনার দিন নানুয়া দীঘির
পাড়ের ঘটনাস্থলে এসে ‘কুমিল্লা টাইমস’
নামের একটি নিউজ পোর্টালে
লাইভ প্রচার করে সহিংসতা উসকে
দেয়া হয়।
এতে
ওই নিউজ পোর্টালের সম্পাদক
সাজ্জাদ হোসেন শিমুল ও নির্বাহী সম্পাদক
ফয়সাল মবিন পলাশের বিরুদ্ধে
সোমবার কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল
সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেপ্তার
করা হয়।
তারা
জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
খান
মুহম্মদ রেজওয়ান, রিমান্ডে থাকা আসামি ইকবাল
হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ
অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে রিমান্ডে থাকা মামলার প্রধান
আসামি ইকবাল হোসেন পাগল ও ভবঘুরে
বলা হলেও আসলে সে
পাগলও নয় ভবঘুরেও নয়।
উল্লেখ্য,
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা
নগরীর নানুয়া দীঘির পাড়ে কোরান অবমাননা
ও পরবর্তীতে মন্দির ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ঘটনায় জেলায় সোমবার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত
মোট ১২টি মামলা হয়েছে।
এর
মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৮টি,
সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২টি
এবং দাউদকান্দি মডেল থানায় ১টি
ও দেবিদ্বারে একটি মামলা হয়েছে।
এর
মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় কোরান
অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাতের ঘটনার মূল হোতা ইকবাল
হোসেনসহ ৪ আসামি গত
২৯ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় দফায়
৫ দিনের রিমান্ডে আছে।
সুত্র:
সময় এখন