ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

আ.লীগের দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২৭, ২০২১

আ.লীগের দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশে করেছে এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার জেলা শহরে এই কর্মসূচির আয়োজন করে তারা।

দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আকতার উদ্দিন আহমেদ রাজা, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর সংগঠনের জেলা শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফর রহমান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম ওহাব। এদেরে মধ্যে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোল্লাকে।

এই দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে জনপ্রিয়তা যাচাই করে নতুন প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে সড়কে নামে বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরিবর্তন চাই’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা জেলা শহরে প্রবেশ করেন। মিছিলটি শহরের শহীদ রফিক সড়ক হয়ে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে মানববন্ধন ও সমাবেশে হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজান মোল্লা, দিঘী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার আলী, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মালেক ও সবজেল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদুর রহমান, পীর মফিজ উদ্দিন ও শাহনাল হোসেন।

বক্তারা বলেন, দিঘী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ওই প্রার্থীকে পরিবর্তন করে দলে এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত আবদুল মতিন মোল্লা বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গতবার চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়ার পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন দিয়ে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকব।’

জুবায়ের আদনান/ফ্রি.বা.নি.