ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় কাল

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২৭, ২০২১

রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় কাল
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন। 

গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১২ অক্টোবর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ওই দিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর ধার্য করা হয়। 

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলায় জামিনে থাকা পাঁচ আসামি-আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তাঁর বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’-এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিম, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর মালিক রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাফিক এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। রায়ের দিন তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। 

গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এর আগে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে ১৯ জুন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৮ জুন আদালতে পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। 

ঘটনার ৪০ দিন পর ২০১৮ সালের ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মামলার এজাহারে বলা হয়, সাফাতের জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তাঁরা। বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে তাঁদের ধর্ষণ করা হয়। 

২০১৮ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গালাগাল করে। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে পৃথক কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তাঁর বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেন। তদন্তকালীন এই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন আসামিরা।