মনোহরদীতে আত্মহত্যা প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এরচে বেশী বলে ধারনা করা হচ্ছে।
মনোহরদীতে ইদানীং বিষপান, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের বড়ি সেবন,গলায় ফাঁসসহ নানাবিধভাবে আত্মহত্যা চেষ্টা বেড়েছে।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়,২০২৩ এর জানুয়ারী থেকে ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৩৩ আত্মহত্যা চেষ্টার রোগীকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ফিরে বাড়ী ফিরে গেছেন ১৩ রোগী।চিকিৎসার্থে অন্যত্র প্রেরন করা হয়েছে ১০ জনকে। চিকিৎসার্থে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ রোগী।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হাসান মাহমুদ এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছেন। তবে আত্মহত্যা চেষ্টায় মৃত্যু ঘটেছে কয়জনের সে হিসেব পাওয়া যায়নি। তাছাড়া পারিবারিক সম্মান রক্ষায় কিছু কিছু আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপাও থাকে। সে হিসেবে এ আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা এখানে আরো অনেক বেশী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, আত্মহত্যা চেষ্টাকারীদের অধিকাংশই তরুনী। আর তাদের অধিকাংশেরই বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে।আত্মহত্যা চেষ্টার কারন হিসেবে যতোদূর জানা গেছে,প্রায় সবক'টিই পারিবারিক সমস্যা উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে সৃষ্ট।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দীন জানান,এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে।তবে প্রধান একটি কারন হচ্ছে,বর্তমান পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে তরুন সমাজের।যার ফলে নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ তাদের আত্মহননের মতো ভ্রান্ত পথে ধাবিত করে থাকে।