জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২০, ২০২১
আগামী
২৪ অক্টোবর (রবিবার) দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের লেবুখালী পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য
খুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব-১ ইসমাত মাহমুদার স্বাক্ষরিত এক
পত্রে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের আদেশ পত্রের ই-মেইল বার্তাটি সোমবার সেতু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয়
প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছেছে। ওই ই-মেইল বার্তায় রবিবার সকাল ১০টায় ভার্চ্যুয়ালি
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলে
জানানো হয়।
ইতিমধ্যে
পায়রা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের টোল প্লাজায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়েছে। সড়ক
ও মহাসড়ক বিভাগ, বিভাগীয়, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের
আয়োজনে অধিক সতর্কতার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে।
পায়রা
সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম মঙ্গলবার জানান, লেবুখালী পায়রা সেতুতে
কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য পুরো সেতু সিসি ক্যামেরার
আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি
আরো বলেন, এ সেতুর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, যেকোনো দুর্ঘটনায় এটি সিগন্যাল দেবে। দেশে
প্রথমবারের মতো পায়রা সেতুতে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রোটেকশন সিস্টেম।
এর ফলে যেকোনো ধরনের ওভার লোডেড (মাত্রাতিরিক্ত ভারী) যান সেতুতে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে
হেলথ মনিটরিং সিস্টেম থেকে সিগন্যাল পাওয়া যাবে। একই ভাবে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ও বজ্রপাতসহ
বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেগুলোতে সেতুর ক্ষতি হতে পারে এ ধরনের আশঙ্কা থাকলেও
সিস্টেম সিগন্যাল দেবে। একই সঙ্গে কোনো কিছুর ধাক্কা থেকে রক্ষায় পিলারের চারপাশে নিরাপত্তা
পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এতে সেতুর স্থায়িত্ব বাড়বে বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা
জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ২৭ কি.মি. পায়রা নদীর ওপর প্রায় এক হাজার চার শ ৭০
মিটার দৈর্ঘ্যের লেবুখালী পায়রা সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে উপকূলের ৫০ লাখ মানুষের
স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ শ কোটি
টাকা। ব্রিজটি যানচলাচলে উন্মুক্ত হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ
ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন
কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।