ফরিদপুরের সালথায় অন্তর হুসাইন জারিফ (২৫) নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘সরি’ লিখে স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ বুধবার ভোরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জারিফ ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মো. হুমাউন কবিরের একমাত্র ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জারিফ একা এক ঘরে ঘুমাতেন। তার মা-বাবা আলাদা আরেকটি ঘরে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে জারিফ একা তার ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে তিনি তার ফেসবুকে ‘সরি’ লিখে পোস্ট করেন। পরিবারের অজান্তে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস নেন। বিষয়টি পরিবারের লোকজন টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার নিথর দেহ নিচে নামান।
জারিফের চাচাতো ভাই আবুল হাসান জানান, অন্তর হুসাইন জারিফ দুটি বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রী ডিভোর্স দেন। পরে ফরিদপুর শহরে গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন। ওই স্ত্রীও দুই মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। এরপর তিনি হতাশায় ভুগছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে তিনি আত্মহত্যার পক্ষে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘আত্মহত্যা খারাপ হতে পারে, আত্মহত্যা করা মানুষগুলো খারাপ না’। তখন আমরা ওকে অনেক বুঝিয়ে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, দুই মাস আগে স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে চলে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত ছিলেন জারিফ। এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।