ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

কুমিল্লার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ১৮, ২০২১

কুমিল্লার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের স্থান পরিদর্শন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। রোববার দুপুরে তিনি নগরীর পূজামণ্ডপগুলো ঘুরে দেখেন এবং মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন।

 

এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও হামলায় আহতদের খোঁজখবর নেন। এর আগে শনিবার রাতে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরেন এমপি বাহার।

 

তিনি নগরীর নানুয়া দিঘীরপাড় দর্পণ সংঘ, ছাতিপট্টি চাঁনমনি কালীমন্দির, রাজগঞ্জ আনন্দময়ী কালীবাড়ি, ঠাকুরপাড়া কালীতলা মন্দির ও সদর দক্ষিণ ঘোষপাড়া মন্দির পরিদর্শন করেন।

 

পরে সাংবাদিকদের এমপি বাহার বলেন, গত ১৩ আক্টোবর কুমিল্লায় দুর্গাপূজা চলাকালে মণ্ডপ ও মন্দিরে যারা হামলা করেছে তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

তিনি বলেন, কুমিল্লা অসাম্প্রদায়িক একটি জেলা, এখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলোর সংস্কার করার ঘোষণা দেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বলেন, কেউ কোনোপ্রকার ভয় পাবেন না, আমি আপনাদের পাশে আছি।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্তি পুলশি সুপার সদর সার্কেল মো. সোহান সরকার, আদর্শ সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল আজিম, কুমিল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিবু চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত দাস টিটু, পিংকু চন্দ, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াসসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

এর আগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এ সময় ইসকন নোয়াখালী মন্দিরে পুরোহিত হত্যা, সারা দেশে শারদীয় দুর্গোৎসবে প্রতিমা ভাংচুর ও সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়।