বরিশালের গৌরনদীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি ‘আপত্তিকর’ কমেন্ট পোস্ট করার জেরে হিন্দুদের তিনটি মন্দির ও কিছু বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের ঘটনায় যে বাড়িতে হামলা হয়েছে সেই বাড়ির বাসিন্দা সুভাষ বৈদ্য বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬০ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে। সেই মামলায় মহানন্দ বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র কোরআন নিয়ে ফেসবুকের একটি পোস্টে ‘আপত্তিকর’কমেন্ট করেন মহানন্দ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি স্থানীয় কিছু মুসলমানের নজরে এলে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় মুসলিমরা মহানন্দকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ওই রাতেই স্থানীয় কয়েকজন মিলে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির এবং জগদীশ বৈদ্যর বাড়ির হরি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় ওই এলাকার হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য জানিয়েছেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একদল উত্তেজিত জনতা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে মন্দিরের প্রতিমা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।